মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ঈদুল আজহা সামনে রেখে গরু-ছাগলের হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। হাটে আনা বড় আকারের আকর্ষণীয় গরু নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও কমতি নেই। তবে হাটে আসার আগেই সাড়া ফেলেছে ‘লালুবাঘা’।
কমলগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের পাবই গ্রামে আবদুল বারীর বাড়িতে তিন বছর আগে জন্ম হয় লালুবাঘা নামের গরুটির। কোরবানি সামনে রেখে বিক্রির জন্য লালুবাঘার দাম হাঁকা হচ্ছে চার লাখ টাকা।
গত মঙ্গলবার দুপুরে পাবই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গরুর মাথার ওপর ঘুরছে ফ্যান। আদর–যত্নের কোনো কমতি নেই। যেমন নাম, তেমনি তার গায়ের রং। লালুবাঘাকে একনজর দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন কৌতূহলী লোকজন। সুযোগ পেলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন তার গায়ে। ছোলা, গমের ভুসি, খেসারি, ভুট্টা, কুঁড়া, গাজর, আপেল, মাল্টা, কলাসহ বিভিন্ন প্রকার খাবার খাওয়ানো হয়।
আবদুল বারি জানান, তিন বছর আগে লালুবাঘার জন্ম দেয় তার বাসন্তী নামের গাভি। যত্নসহকারে লালুকে তিনি লালন–পালন করেছেন। লালুবাঘা এখন উচ্চতায় ৫ ফুট, লম্বায় ৯ ফুট, ওজন ১৭ মণ। কোরবানি উপলক্ষে লালুকে বিক্রি করা হবে। হাটে তোলা না হলেও বাড়িতে দাম হাঁকা হচ্ছে চার লাখ টাকা। আবদুল বারী জানান, ইতিমধ্যে ত্রেতারা লালুবাঘার দাম বলেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন গরুটি কিনতে বাড়িতে আসছেন। সঠিক দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারছেন না। বাড়িতে বিক্রি করতে পারলে কিছু কম হলেও ভালো বলেন তিনি। তবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পেলে বিক্রি করে দেবেন বলে জানান।