মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরসূরিদের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামের সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে। সভায় এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে তা ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের হাতে এখন আর কোনো ইস্যু নেই।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাঁদের দিয়ে আরেকটি আন্দোলন করাতে চাচ্ছে। তাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সজাগ থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রে পা দেওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার। সেই লক্ষ্য নিয়েই মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরসূরিদের কাজ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরসূরিদের আস্থা আছে এবং থাকবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী এমদাদুল হক প্রমুখ।