২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকের চাপের মুখেই কোনো দালিলিক তথ্য-প্রমাণ ছাড়া পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান বিদায় সংবর্ধনায় এমনটাই জানিয়েছেন।
আজ রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বিদায়ী চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান ও কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিনের সম্মানে সংবর্ধনার আয়োজন করে সংস্থাটি।
মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগে আমরা (দুদক) যে এজাহারটি করেছি তাতে মামলা করার মতো কোনো উপাদান ছিল না। আসলে এটা ঠিক হয়নি।’
অবশ্য এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। মূলত দেশের স্বার্থেই মামলা করেছি মন্তব্য করে বদিউজ্জামান বলেন,‘তবে মামলাটি করেছি যেন বাংলাদেশ পদ্মা সেতুতে অর্থ ছাড় পায়।’ পরবর্তী সময় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মামলা-পরবর্তী তদন্তে আমরাই তুলে ধরেছি এ দুর্নীতির অভিযোগটি মিথ্যা।’
বিদায়ী কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন, ‘আমরা দুর্নীতিবাজদের মনে একটু হলেও ভীতির সঞ্চার করতে পেরেছি। অনেক দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।’ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এ কমিশন যেভাবে কাজ করেছে তা আপনাদের মনে রাখতে হবে। রেশনিং সুবিধাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিশ্চিত করেছি। অনেককে পদোন্নতি দিয়েছি। যোগ্য অনেকে হয়তো বঞ্চিত হয়েছে, কিন্তু সবাইকে হয়তো খুশি করা সম্ভব না।’
দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) নাসিরউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংস্থার মহাপরিচালক জিয়া উদ্দিন, পরিচালক নাসিম আনোয়ার প্রমুখ।