খুনি ফারুকের ঔদ্ধত্য

'ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ করায় মুজিবকে ধ্বংস করেছি'

>ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরে ফারুক রহমানের চিঠি
খুনি চক্রের অনেকেই ওই সময় নানা কৌশলে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন

পঁচাত্তরের খুনি চক্রের প্রধান মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সৈয়দ ফারুক রহমানের মতাদর্শগত ভণ্ডামি ও সন্ত্রাসী চিন্তাচেতনা–সংক্রান্ত একটি চাঞ্চল্যকর নতুন দলিলের সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে নির্দিষ্টভাবে দাবি করা হয়েছে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র না করে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার কারণেই শেখ মুজিবকে হত্যা করেছেন তিনি।

ব্রিটেনের জাতীয় মহাফেজখানা থেকে উদ্ধার করা ওই গোপন নথিতে দেখা যাচ্ছে, সৈয়দ ফারুক রহমান ১৯৭৬ সালে লিখেছেন, একাত্তরের মূল চেতনা ছিল ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। শেখ মুজিবকে মানুষ সে কারণেই নেতার আসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষে তিনি বাংলাদেশের মুসলমানদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। তিনি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন। আর সে কারণেই তিনি ‘আল্লাহর প্রেরিত বান্দা’ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেন। এর মূল দায় তাঁর, তিনিই এ বিষয়ে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবেন।

ইংরেজিতে ফারুকের নিজের হাতে লেখা চিঠিটি এ–ফোর আকৃতির ৭ পৃষ্ঠার। তিনি নিচে সই করেছেন ২৪ (অস্পষ্ট) জুন, ১৯৭৬। পদবি লিখেছেন—
লে. কর্নেল, দ্য বেঙ্গল ল্যান্সারস। এ থেকে বোঝা যায়, তিনি সেনাবাহিনীর একজন কর্মরত অফিসার হিসেবেই ব্রিটিশদের কাছে ওই চিঠি পৌঁছে দিয়ে থাকতে পারেন। অবশ্য ব্রিটিশরাও সেটি কোনো সূত্র থেকে সংগ্রহ করে থাকতে পারেন। ঠিক কোন সূত্রে কী কারণে চিঠিটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করেছিল, তা জানা যায়নি। তবে এর অনুলিপি ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তার (এম ভি শ এবং মিসেস মার্শাল) কাছে পাঠিয়েছিল ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।

সৈয়দ ফারুক রহমান বা খুনি চক্র তাদের জীবদ্দশায় প্রকাশ্যে কখনো এতটা নির্দিষ্ট করে এভাবে ১৫ আগস্ট সৃষ্টির ‘ধর্মীয় অপব্যাখ্যা’ হাজির করেছে বলে জানা যায় না। প্রকাশ্যে তারা বলেছে, একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল কায়েম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণসহ মুজিবের শাসনগত ব্যর্থতার কারণে তারা ১৫ আগস্ট ‘মহান বিপ্লব’ করেছে। বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ অনেক দলই খুনি চক্রের এই সুরে গলা মিলিয়েছে।

অবশ্য মেজর শরিফুল হক ডালিম প্রথম ও শেষবারের মতো ১৫ আগস্টে বাংলাদেশ বেতারে বাংলাদেশকে ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। পরে দীর্ঘকাল খুনি চক্র ফ্রিডম পার্টির নামেও দেশে অপরাজনীতি করেছে। কিন্তু কখনোই তারা ফারুক রহমানের ওই চিঠির বিবরণ অনুযায়ী বলেনি যে ‘ধর্মনিরপেক্ষ এবং অ-ইসলামি শাসন’ কায়েম করার কারণেই ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত অভ্যুত্থান ঘটিয়েছিল।

ফারুকের চিঠিটি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরে পৌঁছায় ১৬ জুলাই ১৯৭৬। ফারুক রহমান ছাড়াও খুনি চক্রের সদস্যদের অনেকেই এ সময়টায় নানা কৌশলে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছিলেন। এ সময় তাঁদের নানা দেশে কূটনৈতিক চাকরি দেওয়া প্রক্রিয়াধীন ছিল এবং তাঁদের উপস্থিতি জানাজানি হলে ব্রিটিশ প্রশাসন অস্বস্তিতে ছিল। ১৯৭৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছে খবর ছিল, সৈয়দ ফারুক রহমান জুলাইয়ের কোনো এক সময়ে ব্রিটেন থেকে বেরিয়ে ইস্তাম্বুলে গেছেন। ব্রিটিশ নথিতে একটি মন্তব্যে দেখা যায়, বাংলাদেশের ঘাতক মেজরদের মধ্যে সৈয়দ ফারুক রহমান সবচেয়ে ভয়ংকর।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের অবমুক্ত করা এই নথি অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের কর্মকর্তা এন ডব্লিউ ব্রাউনি ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের এ ই মন্টগোমারিকে ওই চিঠি পাঠান। ব্রাউনির শুধু এক বাক্যের মন্তব্য ছিল, ‘কেভিন রেফার্টির কাছ থেকে সৈয়দ ফারুক রহমানের খোলা চিঠি পেলাম। আমার একমাত্র মন্তব্য হচ্ছে, আগস্ট থেকে নভেম্বর, ১৯৭৫ সময়ে তাদের একটি চান্স ছিল। কিন্তু তারা তা নিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

প্রথম আলোর অনুসন্ধান থেকে দেখা যায়, সৈয়দ ফারুক রহমান ওই চিঠিতে তাঁর ‘ইসলামি সমাজতন্ত্রের’ স্বরূপ ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে তিনি স্পষ্টতই ডাহা মিথ্যা ও ইতিহাস বিকৃতির আশ্রয় নিয়েছেন। এই চিঠি সাক্ষ্য দিচ্ছে যে ইসলামের নামে বর্তমানকালের নিষিদ্ধঘোষিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আল–কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএস), জেএমবি বা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের নেতাদের মতোই ফারুক নিজেকে ইসলামের সিপাহসালার হিসেবে চিত্রিত করেছেন। দেশি–বিদেশি জঙ্গিরা কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতাকে ঐশী আদেশ হিসেবে দাবি করে থাকে। পঁচাত্তরের খুনি চক্রের হোতা ফারুক সেদিক থেকে কোনো ব্যতিক্রম নন।

ফারুক রহমানের চিঠি নতুন করে এই প্রশ্ন সামনে আনছে যে বঙ্গবন্ধু হত্যায় বিদেশি ষড়যন্ত্র কত আগে থেকে সক্রিয় ছিল। সেনাবাহিনীর জন্য অস্ত্র কেনার কথা বলে ফারুক ১৯৭২ সালেই মার্কিন দূতাবাসে গিয়েছিলেন। কুয়েতে থাকা ফারুক একাত্তরের অক্টোবরে ফিরে যুদ্ধে অংশ নিতে কলকাতায় আসেন।

চিঠিতে কী আছে
ফারুক রহমানের ওই চিঠির শিরোনাম হলো, ‘দ্য ইসলামিক সোশ্যালিস্ট রেভল্যুশন ইন বাংলাদেশ’। ফারুক তাঁর দীর্ঘ চিঠিতে মুক্তিযুদ্ধ কথাটি একেবারেই উল্লেখ করেননি।

ফারুক রহমান লিখেছেন, একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন যে শেখ মুজিব তাঁদের অভিপ্রায় পূরণের জন্য সঠিক নেতা। তাঁকে সব ক্ষমতাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাঁর ধর্ম ইসলামের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। অথচ এটাই ছিল বিপ্লব ও মানুষের ধর্মের মূল আদর্শগত প্রতিপাদ্য। এই বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই তাঁকে ধ্বংস করেছি। কেউ তাঁকে বাঁচাতে পারেনি।’

ইসলামের নামে ফারুক তাঁর ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী দৃষ্টিভঙ্গি ঔদ্ধত্যের সঙ্গে প্রকাশ করেছেন। চিঠির প্রতিটি ছত্রে তারই ছাপ স্পষ্ট। একটি স্থানে লেখেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ইসলামি বিপ্লবের প্রয়োজনে আমি সর্বশক্তিমান আল্লাহর নগণ্য হাতিয়ার (হাম্বল ইনস্ট্রুমেন্ট) হিসেবে শেখ মুজিবকে ধ্বংস করি। আর সেই মুহূর্তেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশে প্রকৃত পরিবর্তন তথা ইসলাম বাস্তবায়নের দায়িত্বভার গ্রহণ করি।’

সৈয়দ ফারুক রহমান খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বাধীন ৩ নভেম্বরের অভ্যুত্থানকে বিদেশি ষড়যন্ত্র হিসেবে বর্ণনা করেন এবং তাতে জিয়াউর রহমানের সমর্থনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলিকে বিএনপি ও জাসদ ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করে আসছে। কিন্তু ৭ নভেম্বর দেশে ইসলামি বিপ্লব–সংক্রান্ত কিছু ঘটেছে, তা দাবি করা হয় না। এমনকি ৭ নভেম্বরের ঘটনাপ্রবাহে খুনি চক্রের কোনো দৃশ্যমান উপস্থিতি বা তাদের নিয়ে কোনো আলোচনাকেও সাধারণত প্রাসঙ্গিক মনে করা হয় না।

অথচ ফারুক রহমান লিখেছেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের অ্যাকশন এবং ইসলামি বিপ্লবের আদর্শাবলি ৭ নভেম্বরে বিপ্লবী সৈনিকেরা অনুমোদন দিয়েছেন। এর সকল দায়দায়িত্ব আমার। বেঁচে থাকি আর মারা যাই, এর দায় আমারই থাকবে।’

এরপর ফারুকের দম্ভোক্তি এ রকম, ‘কেউ পছন্দ করুন আর না–ই করুন, আমিই বাংলাদেশের ইসলামি বিপ্লবের আদর্শগত নেতা। আমারই দায়িত্ব এটা প্রমাণ করা যে বাংলাদেশ উত্তমভাবে চলতে পারে। এর প্রমাণ দিতে না পারলে আমি এ জন্য আল্লাহ এবং জনগণের কাছে দায়ী থাকব।’

জিয়া ও মোশতাক প্রসঙ্গ
জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে সৈয়দ ফারুক রহমান বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। কারণ, ইসলামি বিপ্লবের আদর্শ তিনি বুঝতে পারেননি বা চাননি। তিনি বিভ্রান্ত ছিলেন। তিনি তাঁর উচ্চাভিলাষী এবং অসৎ স্টাফ অফিসারদের পরামর্শের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।’

ফারুক এরপর লেখেন, ‘১৯৭৫ সালের আগস্টে আমি জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান পদে বসিয়েছিলাম। কারণ, ভেবেছিলাম তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে ন্যূনতম দুর্নীতিগ্রস্ত এবং প্রতীয়মান হয়েছিল যে তিনি বিপ্লবের আদর্শ অনুমোদন করেছিলেন। পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বরের ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে হাত মেলানোর আগ পর্যন্ত আমি তাঁর সঠিক চরিত্র বুঝতে পারিনি। ৭ নভেম্বরে বিপ্লবী সৈনিক ও জনতা আমার দেওয়া মনোনায়ন অনুমোদন করেছিলেন। কারণ, তাঁরা আশা করেছিলেন, জিয়া বিপ্লবের আদর্শ বাস্তবায়ন করবেন। আমি তখন নীরব ছিলাম। কারণ, আমি মনে করেছি, কারও বিশ্বাসঘাতকতা ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু ১৯৭৬ সালের এপ্রিল/মে মাসে বাংলাদেশ সফরের পরে আমি সত্যটা বুঝতে পারি। সত্যটা হলো, জিয়া দেশের অন্যান্য নেতাদের মতোই ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’

খোন্দকার মোশতাক আহমেদ প্রসঙ্গে ফারুক লিখেছেন, ‘আমি মোশতাক আহমেদের দ্বারা প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাংলাদেশে তিনি ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠা করবেন। কিন্তু তিনি সেটা না করে স্থগিত করে রাখলেন। তাঁকে অপসারণ না করে আমার পক্ষে তাতে কোনো হস্তক্ষেপ করা সম্ভব ছিল না। আমি তখন সেই পর্যায়ে সেটা করিনি। কারণ, আমি তাঁকে সময় দিতে চেয়েছিলাম। আমি ক্ষমতা নিতে অনাগ্রহী ছিলাম।’

চার লক্ষ্য
এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে বিশ্বের দেশে দেশে সামরিক শাসকেরা সব সময় বৈধতার সংকটে ভোগেন। আর তখন তাঁরা সাধারণত রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করে। জিয়া ও এরশাদের দ্বারা রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার সুবিদিত। জিয়া ধর্মনিরপেক্ষতা বিলোপ করে সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এবং ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস’ আর এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম সংযোজন করেন। তবে সৈয়দ ফারুক রহমানের দাবির সঙ্গে জিয়া ও এরশাদের সংবিধান সংশোধন করে নেওয়ার পদক্ষেপের মিল রয়েছে।

এটা লক্ষণীয় যে জুলফিকার আলী ভুট্টো মেজর ডালিমের ঘোষণার ভিত্তিতেই অতি উৎসাহিত হয়ে নতুন রাষ্ট্র ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ’কে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। উপহার পাঠিয়েছিলেন। পাকিস্তানি গণমাধ্যম দক্ষিণ এশিয়ায় ‘মুসলিম বাংলা’র উত্থানকে স্বাগত জানিয়েছিল।

ফারুক তাঁর চিঠির উপসংহারে বলেন, ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর একজন খাদেম (সার্ভেন্ট) হিসেবে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কোরআনে বর্ণিত বিপ্লবী নীতিসমূহ কার্যকর করাই হবে আমার মৌলনীতি। ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব আল্লাহর কাছ থেকে আসে। আমি আরও বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ সর্বশক্তিমান আল্লাহর হেফাজতে আছে এবং মুসলিম হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করার আরেকটি সুযোগ আমরা পেয়েছি।’

ইসলামিক সোশ্যালিস্ট রেভল্যুশনের জন্য ফারুক চার লক্ষ্য উল্লেখ করেছিলেন: ক. ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা। পবিত্র কোরআনের নীতি অনুযায়ী ইসলামি আইন ও সামাজিক কাঠামো তৈরি করা। খ. বাংলাদেশে একটি বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা করা। গ. পবিত্র কোরআনের ভিত্তিতে জনগণের প্রত্যক্ষ শাসন কায়েম করা। ঘ. বিশেষ করে ইসলামি দেশগুলোর সঙ্গে থেকে ব্রাদারহুড অব ইসলাম কায়েম করা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম ধর্মীয় বিবরণ আমরা আগে কখনো শুনিনি। তবে যত দূর জানি তাতে বলতে পারি, সে আমার এক ব্যাচ জুনিয়র ছিল। তার জীবনধারায় ইসলামের কিছু ছিল বলে মনে হয় না।’