বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পরপরই পুরো ভবন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। নিশ্বাস নিতে পারছিলেন না কেউ। এই ঘটনায় যাঁরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন, তাঁরা চোখের সামনে মানুষকে মরতে দেখেছেন।
আজ রোববার সকালে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির শুনানিতে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন। বনানীর সপুরা টাওয়ারের সামনে অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এই শুনানি চলছে।
সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাশেম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তা ইবনে হাসিব মো. সালাউদ্দীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার দিন তাঁরা ভবনের ছাদে উঠে যান। সেখান থেকে টপকে পাশের ভবনে চলে যান। তিনি দেড় থেকে দুই শ মানুষকে দেখেছেন ছাদে।
সালাউদ্দিন বলেন, ধোঁয়ার মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে তিনি একজনকে টবে থাকা গাছে মুখ গুঁজে রাখার চেষ্টা করতে দেখেন। সে অবস্থাতেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
সালাউদ্দিন জানান, এই ঘটনায় তাঁর সহকর্মীদের চারজন আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মঞ্জুর হাসান।
সালাউদ্দিন বলেন, মঞ্জুর পক্ষাঘাতগ্রস্ত ছিলেন। তাঁকে সহযোগিতা করতে চাইলেও তিনি তাঁর সহকর্মীদের আগে বাঁচতে বলেন।