আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোটের মাধ্যমে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টকে প্রত্যাখ্যান করে কষে চপেটাঘাত করেছে। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এলে আবারও জনগণের চপেটাঘাত খেতে হবে, এ ভয়ে তারা নির্বাচনে আসেনি।
আজ শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের’ নতুন কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র হাইজ্যাককারী ও অগ্নিসন্ত্রাসীদের দল বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন, যা অত্যন্ত হাস্যকর ও জনগণের সঙ্গে ‘ভাঁওতাবাজি’ ছাড়া আর কিছু নয়। যে দলের প্রতিষ্ঠাতা ‘বন্দুক উঁচিয়ে’ ক্ষমতা দখল করেছিলেন, যে দল ক্ষমতায় আসার জন্য জনগণের ওপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে, সে দলের সঙ্গে জোট করে মুখে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা হচ্ছে জাতির সঙ্গে ‘মশকরা’ করা।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের আগে জনগণের হাতে ক্ষমতা ছিল, ৩০ ডিসেম্বরের পরে ক্ষমতা ছিনতাই হয়েছে—জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন এ বক্তব্যের মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, দেশের ক্ষমতা জনগণের হাতেই আছে। কারণ ৩০ ডিসেম্বরের আগে যেহেতু শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় দেশের ক্ষমতা আগেও জনগণের হাতে ছিল, এখনো আছে এবং জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে শেখ হাসিনার হাতে আবারও দেশ পরিচালনার ভার তুলে দিয়েছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তিন দিনের সরকারি ছুটি, বৈরী আবহাওয়া ও নির্বাচনে কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার পরও ৩১ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, তা অত্যন্ত সন্তোষজনক।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, ইতালি, বেলজিয়াম ও জার্মানির আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।