সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। তারা বলছে, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থার সংস্কার চাওয়া হয়েছে। তারা বাতিল চায়নি। কোটা বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার তাই সরকারকেই নিতে হবে।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি তাঁদের আন্দোলনের আংশিক সফলতা, পরিপূর্ণ নয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোনো বিশেষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বিশেষ নিয়োগ ছাত্রসমাজ মানবে না। একই সঙ্গে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।
হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমরা কোটা বাতিল চাইনি। সংস্কার চেয়েছি ৷ কোটা বাতিলের যে পরিপত্র জারি হয়েছে, তা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি ৷ এর ফলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তার দায়ভার ছাত্রসমাজের নয়। সেই দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’
নিয়োগের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরসহ ফল প্রকাশেরও দাবি জানান হাসান আল মামুন।
অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রয়োজনে ফ্রি শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ‘আমাদের তিনটি দাবি ছিল। ছাত্রসমাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার। এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার। আমরা কোটাপদ্ধতির বাতিল চাইনি। প্রকৃতপক্ষে যারা পিছিয়ে আছে, তাদের এগিয়ে আসার সুযোগ করে দিতে হবে ৷ নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা এখনো পিছিয়ে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের যেন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়। ছাত্রসমাজের সঙ্গে প্রহসন বা চালাকি করা হলে আমরা রাজপথে তার জবাব দেব।’
সংগঠনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘কোটা বাতিলের পরিপত্র সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। আন্দোলনকারীদের নামে দেওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই। আন্দোলনকারীদের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের বিচার চাই। পাঁচ দফার আলোকে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত আমাদের আংশিক সফলতা, পরিপূর্ণ বিজয় নয়।’