আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমামের সমালোচনা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বলেছে, নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে জয়লাভের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। কামাল হোসেনকে নিয়ে দেওয়া এইচ টি ইমামের বক্তব্যও প্রত্যাখ্যান করে এই জোট।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অস্থায়ী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সমালোচনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনসহ ১০ জন নেতা গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং নেতারা বৈঠকের মাঝপথে বের হয়ে যান। সেদিন এইচ টি ইমাম এ প্রসঙ্গে বলেছেন, কামাল হোসেন সিইসির সঙ্গে ‘মাস্তানি’ করেছেন।
ঐক্যফ্রন্টের লিখিত বক্তব্যে এইচ টি ইমামের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বলা হয়, ‘ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে এ ধরনের উক্তি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জার। আমরা তাঁর উক্তি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’ ঐক্যফ্রন্ট আরও বলে, আওয়ামী লীগকে কারচুপি ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জয়লাভের দায়িত্ব নিয়েছেন এইচ টি ইমাম। এই জোট আবারও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে।
নির্বাচনের দিন গণমাধ্যমকর্মীদের মোটরসাইকেল ব্যবহার না করতে দেওয়া, ইন্টারনেটের গতি টু-জি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানায় ঐক্যফ্রন্ট। এ ছাড়া সারা দেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, পুলিশ তাদের বলেছে রক্ষা পেতে হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। দলটির নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, এবারের নির্বাচন রক্তক্ষয়ী নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। সেনাবাহিনী নামার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তাঁদের আশা ছিল, কিন্তু হতাশা জানিয়ে সুব্রত বলেন, তাঁদের আবেদন সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী ১০ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থেকে ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মেয়ে অপর্ণা রায় তাঁর বাবার ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নিজের পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করেন। এ ছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অত্যাচারের জবাব দেবে।