যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক ও যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাবেরুলকে ও উপশহর এলাকার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে মিজানুরকে আটক করা হয়।
বেলা তিনটায় প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে যশোর-৩ (সদর) আসনের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আমি এখন একা, নিঃসঙ্গ। নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকার জেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অন্তত ২৫০ জন পদধারী নেতাকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে আমার নির্বাচনী কয়েকজন পোলিং এজেন্টও রয়েছেন। চারপাশ থেকে সবাইকে আটক করে আমাকে একরকম নেতাশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা কারাগারের বাইরে আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন করে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রকাশ্যে এলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন, এমন ভয় রয়েছে।’
অনিন্দ্য আরও বলেন, ‘এর আগের প্রেস কনফারেন্সে আমি বলেছিলাম, আজ আমার সঙ্গে যেসব রাজনীতিককে দেখছেন, ভবিষ্যতে তাঁদের অনেককে আমার পাশে রাখা হবে না এবং বাস্তবে তা–ই হয়েছে। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন আমার ডানে-বাঁয়ে কোনো নেতা নেই। আমি শুধু আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে জেলা বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁরা আমার নির্বাচন পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমি গ্রেপ্তার হলে আমার মা নার্গিস বেগম ও স্ত্রী সোহানা পারভীন নির্বাচনের বাকি কাজ পরিচালনা করবেন। আমি মুক্ত থাকলে নির্বাচনী শেষ লড়াই লড়ে যাবে।’
সেনাবাহিনীর উদ্দেশে ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ‘এ দেশের জনগণ আপনাদের ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে। আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, জনগণের পাশে থেকে একটি সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ তৈরি করুন।’ তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি লড়ে যাব।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে অনিন্দ্য বলেন, ‘আপনার সমস্ত প্রস্তুতি শেষ করেন। আমার কোনো প্রচার লাগবে না। তারপরও আসুন, সুষ্ঠুভাবে ভোট করুন। সদরের যেকোনো ইউনিয়নে আপনি যাবেন, আমিও যাব। দেখব কে জেতে। মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। শুধু ভোটের পরিবেশ দিন।’
সংবাদ সম্মেলনে অনিন্দ্যের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী সোহানা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।