কুষ্টিয়ায় আবরারের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন স্থানীয় কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে তিনি কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে যান। সেখানে আবরারের বৃদ্ধ দাদা আবদুল গফুর বিশ্বাস (৮৭), বাবা বরকত উল্লাহ ও মা রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আবরারের দাদা ও বাবাকে জড়িয়ে ধরেন সাংসদ। গফুর বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জের দাদা গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছিলেন। গফুর বিশ্বাস সেলিম আলতাফকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সেলিম আলতাফ পরিবারের ইচ্ছে অনুযায়ী আবরারের বাড়ির সামনের আধা কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণসহ ‘আবরার ফাহাদ সড়ক’ নামকরণের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে আরবারের কবর পাকা ও সেখানে সোলার লাইট লাগিয়ে দেবেন, বাড়ির সামনের মসজিদও উন্নয়ন করে দেবেন বলে জানান তিনি।
এ সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ সাংসদকে বলেন, তাঁর ছোট ছেলে আবরার ফায়াজ ঢাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে। সে ঢাকায় পড়তে যেতে চাচ্ছে না। ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখার বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এ সময় সাংসদ আবরারের বাবাকে আশ্বস্ত করে বলেন, প্রয়োজন হলে ফায়াজকে ঢাকায় নিরাপত্তাসহ তার (সাংসদের) বাসায় রেখে পড়াবেন। তবুও তার পড়ালেখায় যেন ছেদ না পড়ে।
গতকাল রাতে সেলিম আলতাফ জর্জ মোবাইল ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করতে সেখানে (আবরারের বাড়ি) যাইনি। প্রথমত আমি মানুষ, মানবিক দিক বিবেচনা করে সেখানে গেছি। আমি জানি তারা আওয়ামী লীগের। ওর (আবরার) দাদা আবদুল গফুর বিশ্বাস আমার দাদা গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে ’৭০ সালে নির্বাচন করেছে। ওর বাবাকে চিনি, ওর চাচাকে চিনি। তারা আওয়ামী লীগ করে। তারা আমাদের রক্তের লোক। কে কী বলে, সেটা দেখার বিষয় না। সারা দেশের মানুষের সঙ্গে আমি একমত।’