ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফার সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে।
নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা আদালতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার চারিত্রিক অপকর্মের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষকে তাঁর দপ্তরে একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে। এ জন্য অধ্যক্ষ তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেন এবং বিনা অনুমতিতে তাঁর (অধ্যক্ষ) কক্ষে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন।
নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা নুসরাতকে যৌন হয়রানি করা এবং আগুনে পুড়িয়ে মারার চিত্র তুলে ধরেন। এরপর তাঁকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন।
গত ৬ এপ্রিল সকালে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে বোরকা পরা পাঁচজন তাঁর হাত-পা বেঁধে শুইয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
আদালত সূত্র জানায়, ৭ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারক। ওই দিন কেরোসিন বিক্রেতা জসিম উদ্দিন, বোরকার দোকানদার লিটন ও তাঁর কর্মচারী লোকমানকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন আদালত।