হাটে আনা ছাগলগুলোকে ঠিকমতো বেঁধে নিয়ে ঘাসপাতা ও অন্য খাবার খাওয়াচ্ছিলেন রাজবাড়ীর পাংশার ব্যবসায়ী বাবু মিয়া। রাজধানীর গাবতলী হাটে তিনি ২০টি ছাগল এনেছেন। এর মধ্যে সাতটি উন্নত জাতের ছাগল আর বাকিগুলো দেশি জাতের।
এ বছর ছাগলের দরদাম কেমন—জানতে চাইলে বাবু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, দাম কমও নয়, আবার বেশিও নয়। মোটামুটি স্বাভাবিক বলা যায়। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি আকারের দেশি জাতের ছাগল নিয়মিত বাজারদর অনুযায়ী কেনাবেচা হচ্ছে। তবে আকারে কিছুটা বড় এবং দেখতে আকর্ষণীয় এমন ছাগলের দাম একটু বেশি। কারণ, অনেকের কোরবানির জন্য ওই ধরনের ছাগলের প্রতি আগ্রহ থাকে। এ সুযোগে কোনো কোনো পাইকার বেশি দাম চান।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী হাটে কথা হয় বাবু মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, পাকিস্তানি ছাগল দুটির ওজন প্রায় ৬০ কেজি। প্রতিটির দাম চাইছিলেন ৭০ হাজার টাকা। আর ৭০ থেকে ৮০ কেজি ওজনের উন্নত জাতের ছাগলগুলো একেকটি ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন। তাঁর আনা দেশি জাতের ছাগলগুলো ২০–২৫ কেজি ওজনের। বিক্রি করবেন ২৫–৩০ হাজার টাকার মধ্যে।
মঙ্গলবার গাবতলীর কোরবানির পশুর হাটে দেখা যায়, পাইকারেরা নিজেদের আনা ছাগলগুলোর যত্ন করছেন। কোরবানিদাতাদের অনেকেই হাটে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দরদাম যাচাই করছেন।
পাইকারেরা ছোট আকারের একেকটি ছাগলের জন্য ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাম হাঁকছেন। মাঝারি আকারের একেকটি ছাগলের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বিদেশি জাতের বড় আকারের একেকটি ছাগলের দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। এ ছাড়া দেখতে আকর্ষণীয় হলে একেকটি ছাগলের জন্য লাখ টাকাও দাম চাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
গাবতলী হাটে সারা বছরই ছাগলের ব্যবসা করেন বাবুল ব্যাপারী। কোরবানির হাট উপলক্ষে তিনি ৬০টির মতো ছাগল এনেছেন। ছোট-বড়, দেশি-বিদেশি সব ধরনের ছাগল তাঁর কাছে রয়েছে।
এর একটি বড় আকারের রামছাগল। ওজনের দিক থেকে ১০০ কেজির বেশি হবে বলে জানালেন বাবুল ব্যাপারী। ছাগলটির জন্য তিনি দুই লাখ টাকা দাম হাঁকছেন। তবে দেড় লাখ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করতে চান বলে জানালেন তিনি।
বাবুল ব্যাপারী প্রথম আলোকে বলেন, ছাগলের দাম খুব বেশি নয়। তবে গত বছরের তুলনায় স্থানীয় হাটবাজার থেকে একেকটি ছাগল ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে।
পাবনার আমিনপুরের পাইকার রিপন মিয়া ২৪ বছর ধরে ছাগলের ব্যবসা করেন। প্রতিবছর গাবতলীর কোরবানির হাটে ছাগল আনেন। এ বছর তিনি ছোট আকারের ছাগল বেশি এনেছেন।