জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঝরনা দেখতে এসে আটকে পড়া ১৫ পর্যটক উদ্ধার হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে চার ঘণ্টা চেষ্টার পর ওই দলকে উদ্ধার করে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম শহর থেকে আসা এই পর্যটকেরা মিরসরাই সদর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বের পাহাড়ে বোয়ালিয়া ঝরনা দেখতে আসেন। দুপুরে ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢলে ছড়ার পানি বেড়ে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। এতে সেখানে আটকা পড়েন এ পর্যটকেরা।
উদ্ধার হওয়া ১৫ পর্যটক হলেন মাহফুজুর রহমান, অপু নীল, স্বপ্নিল দাশ, সালাউদ্দিন কাদের, আতাউর রহিম, সাদিয়া সরোয়ার, আবদুল্লা আল মামুন, মো. ফেরদৌস, তাজুল ইসলাম, মো. জুনায়েদ, জাবেদুল ইসলাম, নিরঞ্জনা, মো. তানিম, মইনুল ইসলাম ও মাহমুদুল হাসান। তাঁদের বেশির ভাগ চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
আটকে পড়া দলটির সদস্য চট্টগ্রামের ইসলামিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে আবহাওয়া ভালো দেখে আমরা বন্ধুবান্ধব ১৫ জন মিলে মিরসরাইয়ের বোয়ালিয়া ঝরনা দেখতে যাই। দুপুরে ভারী বৃষ্টি নামলে মুহূর্তেই পাহাড়ি ছড়াগুলোয় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেই সাঁতার না জানায় সেখানে আটকা পড়ি। পরে ট্রিপল নাইনে (৯৯৯) সাহায্য চাইলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আমাদের উদ্ধার করে।’ তিনি জানান, বেলা দুইটার দিকে তাঁরা ৯৯৯-এ ফোন করেছিলেন।’
উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসের লিডার পুলক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে মিরসরাই থানা-পুলিশ মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানায়। পরে তিনটি পাহাড়ি ছড়া পেরিয়ে চার ঘণ্টার চেষ্টার পর তাঁরা ওই ১৫ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে মিরসরাইসহ পুরো চট্টগ্রামে। এতে চারপাশ পানিতে টইটম্বুর। এমন সময় হঠাৎ ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ছড়াগুলোয় তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে, এই সময়টায় পাহাড়ি ঝরনাগুলোয় বেড়াতে না যাওয়াই ভালো।