ঢাকাসহ সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনের পর ফিটনেস নবায়ন না করা ৮৯ হাজার ২৬৯টি গাড়ি গত দুই মাসে ফিটনেস নবায়ন করেছে—এমন তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই হাইকোর্ট এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনের পর ফিটনেস নবায়ন না করা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি যানের ফিটনেস নাবায়ন করতে গাড়ি মালিকদের দুই মাস সময় বেধে দেন। ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিআরটিএর কাছে গিয়ে এসব যানের ফিটনেস পরীক্ষা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে বিআরটিএ ও পুলিশের মহাপরিদর্শকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদেশের জন্য ২৩ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।
মঙ্গলবার কথা হয় বিআরটিএর আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চলতি বছরের ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৯ হাজার ২৬৯টি ফিটনেসহীন গাড়ি তাদের ফিটনেস নবায়ন করেছে। এসব তথ্য উল্লেখ করে ইতিমধ্যে হলফনামা করা হয়েছে, বুধবার প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হবে।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির বিষয়ে বিআরটিএর দাখিল করা প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ২৩ জুলাই হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন। সেদিন আদালত বলেছিলেন, দুই মাসের মধ্যে ফিটনেস সদন গ্রহণ করতে হবে। যদি আদেশ বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আদেশ দেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৪ জুন হাইকোর্ট এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে রেজিস্ট্রেশনের পর ফিটনেস নবায়ন না করা যান ও লাইসেন্স নিয়ে তা নবায়ন না করা চালকের বিস্তারিত তথ্য এক মাসের মধ্যে দাখিল করতে বিআরটিএকে নির্দেশ দেন। ফিটনেস নবায়ন না করা যান ও লাইসেন্স নবায়ন না করা চালকের ক্ষেত্রে বিআরটিএ কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও এ সময়ের মধ্যে জানতে বলে ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই বিএরটিএর পক্ষে আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিআরটিএর ওই প্রতিবেদনের ভাষ্য ছিল, ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০ টি।
‘নো ফিসনেস ডকস, ইয়েট রানিং’ শিরোনামে গত ২৩ মার্চ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর ভাষ্য, ৭০ হাজারের বেশি যানবাহন ফিটনেস সার্টিফিকেট ১০ বছরেও নবায়ন করেনি, এর অনেকগুলোই দুর্ঘটনার গুরুতর ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় আছে। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এলে গত ২৭ মার্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। একইসঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন ও নিবন্ধনহীন যানবাহন এবং লাইসেন্সহীন চালকের তথ্যাদি প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।