সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আগামী পাঁচ বছর গড়ে ৭ দশমিক ৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দারিদ্র্যের হার বর্তমানের ২৪ দশমিক ৮ ভাগ থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৬ ভাগে আনা হবে। এ ছাড়া রপ্তানি আয় ৩০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে।
আজ মঙ্গলবার এ পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সকালে পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, সপ্তম এ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৫-২০২০) ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং জনগণের আয় বণ্টন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য হারে উন্নীতকরণের লক্ষ্য অর্জনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে অন্যতম কৌশল হবে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগে গতিশীলতা আনা। একই সঙ্গে সর্বাধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘এবারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপি’র ২ দশমিক ০২ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে জিডিপি’র ২ দশমিক ৩০ ভাগে উন্নীত করা হবে। একই সঙ্গে এবারের পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৯ লাখ কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করছি’।
মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এবারই প্রথম গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ খাতে ব্যয় জিডিপি’র শূন্য দশমিক ৬ ভাগ থেকে বাড়িয়ে এক ভাগে উন্নীত করা হবে’।
সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি ধরে এবারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৩১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রাক্কলন করা হয়েছে। মোট বিনিয়োগের ৭৭ দশমিক ৩ ভাগ আসবে বেসরকারি খাত থেকে। বাকি ২২ দশমিক ৭ ভাগ আসবে সরকারি খাত থেকে।