পুরান ঢাকা থেকে সব রাসায়নিক কারখানা ও গুদাম সরিয়ে ফেলতে সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় টাস্কফোর্স। আজ তৃতীয় দিনের মতো সেখানে অভিযান চলছে। আজ সেখানে মোট পাঁচটি দল অভিযান চালাচ্ছে। এর মধ্যে ২ নম্বর দলটি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চকবাজারের আকবর লেনে অভিযান চালায়। এ সময় ২৭ নম্বর হোল্ডিং, ২৯/১ হোল্ডিং, ২৯/২ হোল্ডিংয়ের মধ্যে প্লাস্টিক ও পলিথিনের কারখানা ছিল। এগুলোর বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির লাইন বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি চকবাজার এলাকার আরও কয়েকটি গুদামে অভিযান চালানো হয়। তবে সেগুলোতে দাহ্য বা কেমিক্যাল পাওয়া যায়নি। সাড়ে ১২টার দিকে দলটি অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করে।
সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে পুরান ঢাকার কেমিক্যাল, পলিথিনের কারখানা, প্লাস্টিকের কারখানা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অভিযান শুরু হয়। ওই দিন সাতটি রাসায়নিক কারখানায় গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। গতকাল ১৩টি কারখানায় গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। আজ আরও চারটি দল অভিযান পরিচালনা করছে।
টাস্কফোর্সের অভিযানের প্রতিবাদে দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লালবাগ চৌরাস্তা অবরোধ করে রাখেন ব্যবসায়ীরা। এতে আশপাশের সব রাস্তার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেমিক্যাল উচ্ছেদে সময় দেওয়া হলেও প্লাস্টিকের কারখানা সরানোর কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। এখন ব্যবসায়ীরা মিছিল নিয়ে লালকেল্লার মোড় এলাকার দিকে যাচ্ছেন।
সিটি করপোরেশনের ঘোষণায় বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার জনগণের নিরাপত্তার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওই এলাকার রাসায়নিকের মজুত থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। এ নির্দেশ অমান্য করা হলে বাড়ির মালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৭১ জন মারা গেছেন। প্রাথমিক তদন্তে আগুনের কারণ হিসেবে রাসায়নিককেই দায়ী করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর থেকেই পুরান ঢাকার আবাসিক ভবনগুলো থেকে রাসায়নিক সরানোর নির্দেশ দিয়েছে সিটি করপোরেশন।