চুয়াডাঙ্গায় ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে চক্ষুশিবিরে চোখ হারানো ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা করে দিতে নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে ইম্প্যাক্ট এবং বাকি পাঁচ লাখ টাকা চক্ষুশিবিরে অস্ত্রোপচারে অনুমোদনহীন ওষুধ (ট্রাইপেন ব্লু) সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইরিশ এন্টারপ্রাইজকে দিতে বলা হয়।
হাইকোর্টের রায়ে নিজেদের অংশটুকু স্থগিত চেয়ে আইরিশ এন্টারপ্রাইজ আবেদন করে, যা আজ রোববার চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালতে ওঠে। আদালত আবেদনটি আগামী মঙ্গলবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালতে আইরিশের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। আর হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত নিজেই শুনানিতে ছিলেন।
অমিত দাশগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, ১৭ জনের প্রত্যেককে ইম্প্যাক্ট দেবে পাঁচ লাখ আর আইরিশ পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই অর্থ দেবে। এই রায়ে তাদের অংশটুকু স্থগিত চেয়ে আইরিশ আবেদনটি করে। চেম্বার বিচারপতি স্থগিতাদেশ না দিয়ে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। অর্থাৎ ১৭ জনের প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আইরিশকে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়ার রায় স্থগিত হয়নি।
গত ২৯ মার্চ ‘চক্ষুশিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত রিট করেন, যার ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১ এপ্রিল হাইকোর্ট ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়সহ কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই রায় দেন। ২০ জনের মধ্যে একটি করে চোখ নষ্ট হওয়া ১৭ জনকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ওই অর্থ এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে ইম্প্যাক্ট ও আইরিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।