প্রায় তিন মাস বিরতির পর সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হয়েছে। প্রথম দিন গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। তাঁরা সবাই ট্রানজিট যাত্রী। ফিরতি ফ্লাইটটি ২৭৪ জন যাত্রী নিয়ে দোহার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ শাখা থেকে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত দুইটায় কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে করে ৩৩ জন যাত্রী ঢাকায় আসেন। এর দুই ঘণ্টা পর ভোররাত রাত চারটায় ২৭৪ জন যাত্রী নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের ফিরতি ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা দেয়।
২১ মার্চ চীন ও যুক্তরাজ্য ছাড়া সব আন্তর্জাতিক আকাশপথে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বেবিচক। এরপর যুক্তরাজ্যও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এলে চীনে ফ্লাইট চালু রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে গতকাল ১৫ জুন পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় বেবিচক।
২১ জুন থেকে যুক্তরাজ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চালু হবে। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাজ্যে বিমান লন্ডন ম্যানচেস্টার রুটে সপ্তাহের সাত দিনই ফ্লাইট পরিচালনা করত। আপাতত ম্যানচেস্টারে যাবে না বিমান। লন্ডনে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে একটি করে ফ্লাইট যাবে। বেবিচকের অনুমতি পাওয়ার পর ২১ জুন থেকে লন্ডন রুটে বিমানের ফ্লাইট চলবে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কাতার এয়ারওয়েজকে প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কাতার এয়ারওয়েজের ট্রানজিট যাত্রীরা কেবল চলাচল করতে পারবেন। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যে কেবল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট চলতে পারবে। আমরা কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করব। আরও কয়েকটি বিদেশি বিমান সংস্থা বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করতে চাইছে। তবে আমাদের বিমান সংস্থাকে যারা চলাচলের অনুমতি দেবে, আমরা শুধুমাত্র তাদের বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে দেব।
বেবিচকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তর্জাতিক আকাশপথের ফ্লাইটগুলো চলাচল করবে। প্রতিটি ফ্লাইটে মোট আসনসংখ্যার ৭৫ শতাংশের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সব যাত্রীর কোভিড-১৯ নেগেটিভসহ স্বাস্থ্যপরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।