২৬ দিন ধরে পাঁচ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের বধূনগর গ্রামের ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ২৬ দিন ধরে পাঁচ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, ট্রান্সফরমার সারানোর জন্য বিদ্যুৎ অফিস ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে।

১৫ নভেম্বর সকালে বধূনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ২৫ অক্টোবর বিকল হওয়া ট্রান্সফরমারটি এখনো খুঁটিতেই আছে। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিকার পেতে স্থানীয় আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান মেলেনি। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুবর্ণা আক্তার বলে, আর কয়েক দিন পর থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সে ভালোভাবে পড়তে পারছে না।

ছয়জন গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় বিদ্যুৎ কার্যালয়ে কর্মরত ব্যক্তিরা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ট্রান্সফরমার ঠিক করতে। বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে লোক মারফত জানানো হয়, টাকা পেলে নষ্ট ট্রান্সফরমারটি খুলে মেরামত করা হবে। না হলে ট্রান্সফরমার খুঁটিতেই থাকবে, সেটা নামানো হবে না। কিন্তু এত টাকা তাঁরা এখনো জোগাড় করতে পারেননি। ফলে এখন পর্যন্ত ট্রান্সফরমারটি খুঁটিতেই রয়ে গেছে।

খেয়ামাঝি রমিজ উদ্দিন বলেন, সময়মতো বিল দেন। এরপর কিছু নষ্ট হলে টাকা দিতে হবে কেন? আরেক ভুক্তভোগী কেলু মিয়া (৬০) বলেন, এর আগেও তাঁরা টাকা দিয়ে ট্রান্সফরমার ঠিক করিয়েছেন। কিন্তু এবার অনেক টাকা চেয়েছে। গ্রামটির প্রায় সবাই কৃষক। তাই এত টাকা সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বধূনগর গ্রামের নষ্ট ট্রান্সফরমারটি ঠিক না করায় সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয়ে ভৈরবের শিমুলকান্দি বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের আবাসিক প্রকৌশলী মফিজ উদ্দিন বলেন, ট্রান্সফরমার ঠিক করার জন্য টাকা চাওয়া হয়নি। কিন্তু এত দিনেও ট্রান্সফরমার মেরামত না হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, একটু দেরি হয়ে গেছে। তবে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।