আদালতে শুনানিতে মামলাটি ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন আইনজীবীরা।
দেশজুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগ প্রকাশ।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার দুপুরে বাসা থেকে বের হন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। এরপর স্বাভাবিক নিয়মে তিনি আর বাসায় ফিরতে পারেননি। ২৩ ঘণ্টার অবর্ণনীয় ঝড় সইতে হয়েছে সাম্প্রতিক বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় পরিচিত মুখ এই নারী সাংবাদিককে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।
সোমবার বেলা তিনটা থেকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে নানাভাবে হেনস্তা করা হয় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে। এ সময় তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলে। একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। লুটিয়ে পড়েন মেঝেতে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁর তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি। রাত সাড়ে আটটার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শাহবাগ থানায়। সেখানে প্রায় ১১ ঘণ্টা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন রোজিনা ইসলাম। এর মধ্যেই থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা দেওয়া হয়।
আদালত কক্ষ থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে সাংবাদিকদের রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ হচ্ছে
গতকাল সকাল পৌনে আটটায় থানা থেকে বের করে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে যাওয়া হয় আদালতের হাজতখানায়। সেখানে প্রায় তিন ঘণ্টা ছিলেন তিনি। পরে এজলাসে নেওয়া হয়। শুনানি চলে প্রায় ৪০ মিনিট। শুনানি শেষে আবার হাজতখানায় নেওয়া হয় তাঁকে। এর আধা ঘণ্টা পর প্রিজন ভ্যানে করে তাঁকে আদালত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগারে নেওয়া হয়। প্রিজন ভ্যান যখন কারাগারের ফটকে পৌঁছায়, তখন সময় বেলা ২টা ৪০ মিনিট। সোমবার থেকে শুরু হওয়া হেনস্তা, হয়রানি আর নির্যাতনের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁকে কারাগারে নিতে পেরিয়ে যায় প্রায় ২৩ ঘণ্টা।
এজলাস কক্ষে দুই পক্ষের আইনজীবীরা থাকলেও বেশির ভাগ গণমাধ্যমের কর্মীকে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত কক্ষ থেকে হাজতখানায় নেওয়ার পথে সাংবাদিকদের দেখে রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ হচ্ছে।’
রোজিনা ইসলামকে গতকাল সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। এর বিরোধিতা করেন তাঁর আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া তাঁকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ারও আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।
শুনানিতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পক্ষে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে রোজিনা ইসলামের সঙ্গে অগণতান্ত্রিক আচরণ করা হয়েছে। আর শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সরকারি গোপন তথ্য চুরি করে অপরাধ করেছেন।
রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা করা এবং মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় দেশজুড়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সিপিজেসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও পেশাজীবী সংগঠন রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট, আল-জাজিরাসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছে। আর দেশে গতকাল প্রতিবাদী মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। নিন্দা জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। সাধারণ নাগরিকদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেসবুকে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এ ঘটনা মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর আঘাত বলে বর্ণনা করেছেন তাঁরা। সম্পাদক পরিষদ বিবৃতি দিয়ে বলেছে, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের মনোভাব থেকে সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ মাহবুব উল আলম হানিফ ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে নয়, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে দেশ-জাতি উপকৃত হবে।
সোমবার মধ্যরাতে রোজিনা ইসলামের নামে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় মামলা করা হয়। গতকাল শুনানিতে তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, দণ্ডবিধির ৩৭৯ এবং ৩৮০ ধারার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হচ্ছে, উন্মুক্ত স্থানে চুরি সংঘটিত হলে সে ক্ষেত্রে ৩৭৯ ধারা প্রযোজ্য হবে। আর যদি কোনো ভবন বা অট্টালিকায় চুরি সংঘটিত হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে অপরাধ হবে ৩৮০ ধারার। অথচ রোজিনার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে থানায় মামলা করা প্রসঙ্গে এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় বা যে পদ্ধতিতে এই মামলা করা হয়েছে, সেটি ত্রুটিপূর্ণ। এ মামলায় শিডিউল (তফসিলভুক্ত) এবং নন–শিডিউল—দুই ধরনের অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। দণ্ডবিধি এবং স্পেশাল আইনের দুই ধরনের অপরাধ একত্র করাও আইনত ত্রুটিপূর্ণ। তিনি শুনানিতে আরও বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ধারার উপাদান মামলার এজাহারে নেই। জামিনযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে আদালতের দায়িত্ব হচ্ছে, আসামিকে জামিন দেওয়া। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
শুনানিতে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিসংক্রান্ত বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। সাংবাদিকতার মহান পেশার দায়িত্ব পালন করতে রোজিনা ইসলাম পরিস্থিতির শিকার। রোজিনা ইসলামকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলার এজাহারের মধ্যে যে ডকুমেন্টসের (তথ্য) কথা বলা হচ্ছে, সেই ডকুমেন্টসের কোনো বর্ণনা এজাহারের মধ্যে নেই। যে জব্দতালিকা হাজির করা হয়েছে, সেই জব্দতালিকায় দেখা যায়, ডকুমেন্টসগুলো কথিত মতে আসামির দখল থেকে নয়, বরং একজন সরকারি কর্মকর্তা নিজেই উপস্থাপন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা মানহানিকর। তাঁকে সচিবালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে।
আদালতে রোজিনা ইসলামের পক্ষে শুনানিতে আরও অংশ নেন আইনজীবী প্রশান্ত কর্মকার, আশরাফ-উল-আলম। রোজিনার পক্ষে আইনি সহায়তা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) আইনজীবী মশিউর রহমান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আবদুর রশীদ ও মিজানুর রহমান। এ ছাড়া আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন সুমন কুমার রায়, মাহবুবুল হক, আবদুর রহীম।
শুনানি শেষে আদালত চত্বরে প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আদালতের মাধ্যমেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যাপারে আস্থা রাখি।’
সচিবালয়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে গত সোমবার রাত সাড়ে আটটায় রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় এনে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে রাখা হয়। রাতে স্বজনদের মাধ্যমে আনা খাবার, স্যালাইন ও ওষুধ তাঁকে দেওয়া হয়। তাঁকে যখন থানায় আনা হয়, তখন বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক সেখানে হাজির হন। সাংবাদিকেরা তাঁকে ছেড়ে দিতে বিক্ষোভ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে, রোজিনাকে গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হবে। এ সময় থানা প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের কয়েকটি গাড়ি বের হওয়ার প্রস্তুতি নেয়। উপস্থিত সাংবাদিকেরা রোজিনাকে ডিবি কার্যালয়ে যাতে নেওয়া না হয়, সে দাবি তোলেন। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে চিকিৎসা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে।
এরপর রাত আড়াইটার দিকে রোজিনার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্বামী মনিরুল ইসলাম। পরে থানা প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কোনো বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে রোজিনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে বলেছেন তিনি, কিন্তু পুলিশ রাজি হয়নি। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোজিনাকে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। সেটিতেও পুলিশ আপত্তি করেছে। অথচ থানা-পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজ থেকেই বলছিলেন, রোজিনা ইসলামের চিকিৎসা দরকার।
গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক এবং রোজিনা ইসলামের বড় ভাই মো. সেলিমও উপস্থিত ছিলেন।
পরে ফরিদা ইয়াসমিন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে রোজিনা ইসলামকে হেনস্তা করার বিচার চেয়েছেন। এ ছাড়া রোজিনার জামিনের বিষয়েও কথা বলেছেন এবং তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আর কারাগারে তাঁকে যেন ভালো পরিবেশে রাখা হয়। সেখানে যেন নতুন করে তাঁকে হয়রানি করা না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁর সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন।
এ সময় রোজিনা ইসলামের বড় ভাই মো. সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, রোজিনার স্বাস্থ্যের যে অবস্থা, সেটি নিয়ে তাঁরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। তিনি তাঁর বোনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
গতকাল রাত নয়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সভাপতি তপন বিশ্বাসের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের গুলশানের কার্যালয়ে যায়।
সাংবাদিকদের প্রতিনিধিদলটি রোজিনার মামলা প্রত্যাহার, তাঁর মুক্তি এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানায় আইনমন্ত্রীর কাছে। পরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, অবশ্যই তিনি (রোজিনা ইসলাম) ন্যায়বিচার পাবেন।’
কাশিমপুর মহিলা কারাগারের একজন কর্মকর্তা গতকাল রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সাধারণ বন্দীদের মতোই রোজিনা ইসলামকে কারাগারে রাখা হয়েছে। বিকেলে তাঁর স্বামীসহ কয়েকজন স্বজন কারাগারে গেলেও দেখা করতে পারেননি। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
স্বজনেরা জানিয়েছেন, রোজিনার একমাত্র কন্যাসন্তানকে তাঁর এক আত্মীয়ের বাসায় রাখা হয়েছে। মায়ের খোঁজে ব্যাকুল শিশুটিকে স্বজনেরা বলেছেন, তার মা সংবাদ সংগ্রহের কাজে ঢাকার বাইরে গেছেন। দু–তিন দিনের মধ্যে চলে আসবেন।