২২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে বাংলাদেশে আসছেন সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী

ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান
 ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় ২২টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে ঢাকা সফরে আসছেন দেশটির বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ। এই প্রতিনিধি দলে সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত ও বৃহৎ গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থা সৌদি আরামকোর প্রতিনিধিও থাকার কথা রয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ আল দুহাইলান তাঁর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি এদিন পবিত্র রমজান উপলক্ষে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষে বাংলাদেশের জন্য খাদ্যসামগ্রী ও খেজুর বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

দুই দেশের সম্পর্ক সম্প্রতি, বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে উল্লেখ করেন সৌদি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরে সৌদি পরিবহনমন্ত্রীর সফরের পর চলতি মাসে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করলেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরামকোসহ ২২ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল নিয়ে সৌদি বিনিয়োগমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন।

বিনিয়োগমন্ত্রীর সফরের সময় কোন কোন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে ইসা ইউসুফ আল দুহাইলান বলেন, সৌদি বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন এক সম্ভাবনার ক্ষেত্র বাংলাদেশ। অবকাঠামো উন্নয়ন, জাহাজ নির্মাণ, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ ও গ্যাস উত্তোলনসহ জ্বালানি খাত, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ওষুধ শিল্প, পেট্রোকেমিক্যাল, হালকা প্রকৌশলসহ নানা খাতে সৌদি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ব্যবসা করতে আগ্রহী। আরামকো, সাবিকের মতো শীর্ষস্থানীয় সৌদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ওই সফরে বাংলাদেশে আসবেন।

সৌদি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর জোর দেন ইসা ইউসুফ আল দুহাইলান। এ সময় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য হজ চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের ধর্মপ্রাণ মানুষ পবিত্র হজব্রত পালনের অপেক্ষায় রয়েছেন। করোনা মহামারির কারণে তা বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়টি সুরাহা হলে পুনরায় হজ চালু হবে।

পবিত্র হজব্রত পালনে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রক্রিয়া এখানেই সম্পন্ন হবে কি না, জানতে চাওয়া হয় সৌদি রাষ্ট্রদূতের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের হজ যাত্রীদের মধ্যে ৫০ ভাগের প্রক্রিয়া এখানেই সম্পন্ন হয়েছিল। আশা করা যায়, পরে বাংলাদেশ থেকে লোকজন যখন হজ পালন করতে যাবেন, তাদের ১০০ ভাগের প্রক্রিয়া বাংলাদেশেই সম্পন্ন হবে।