জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলাল) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন তাঁর ব্যক্তিগত ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্ষেতলাল সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। সাংসদ নির্বাচিত হলে তিনি এসব ইশতেহার বাস্তবায়ন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ইশতেহারকে দলীয় নেতা-কর্মীর পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও স্বাগত জানিয়েছেন। এই ২২ দফা ইশতেহারে যা রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি তুলে ধরা হলো, ২০২০ সালের মধ্য সব আইডিভুক্ত গ্রামীণ রাস্তা পাকাকরণ, ২০২১ সালের মধ্যে আইডিতে নেই কিন্তু কমপক্ষে ১০ ফুট চওড়া আছে, সেগুলো আইডিতে করে পাকাকরণ, ২০২১ সালের মধ্যে সব গ্রামে সব গলিতে ইট বিছানো, নালা পাকাকরণ, প্রয়োজনীয় রাস্তাসংলগ্ন পুকুরে প্যারা সাইড নির্মাণ করে শেখ হাসিনার ঘোষিত গ্রামকে শহরে উন্নীতকরণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্সের উপস্থিতি এবং উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণ, তিনটি ডায়াবেটিক সমিতির অবকাঠামো উন্নয়ন ও সেবার মান নিশ্চিতকরণ।
মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, মন্দির, এতিমখানা, আস্তানা, খানকা শরিফসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চলমান সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধিকরণ, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল মেয়াদে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং মাদ্রাসায় মহানগরের মানের উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা চালুকরণ, ২০১৯ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে শিক্ষিত বেকার এবং শিক্ষিত, অশিক্ষিত নারী-পুরুষের বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্ব ও দারিদ্র্যমুক্ত এলাকা প্রতিষ্ঠা করা, মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিমালা চলমান রেখে মাদকমুক্ত জনপদ গড়ে তোলা, তিনটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, বিদ্যমান খেলার মাঠ উন্নয়ন, বিভিন্ন খেলাধুলার প্রশিক্ষণ এবং টুর্নামেন্ট চালু করে ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রাণের সঞ্চার করা, হাটবাজারে সরকারনির্ধারিত হারের অধিক টোল-খাজনা আদায় বন্ধকরণ। ইজারাদারদের হাত থেকে নিরীহ জনগণকে রক্ষা করা, বাল্যবিবাহ, ইভ টিজিং বন্ধ করে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জমির খাজনা প্রদান, আনুষঙ্গিক কাজে ঘুষ আদায় এবং জুলুম বন্ধকরণ।
ভ্যান, রিকশা, অটো ভটভটির ওপর চাঁদাবাজি বন্ধকরণ, সমাজ থেকে ক্রমান্বয়ে সব ধরনের দুর্নীতি, প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধ করে একটি মুক্ত, স্বাধীন পরমতসহিষ্ণু পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধসম্পন্ন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, জনপদ গড়ে তোলা, আন্তজেলা গণপরিবহন চালুকরণ এবং ২০২৪ সালের মধ্যে আক্কেলপুর-কালাই-ক্ষেতলালের মধ্যে সার্কুলার সার্ভিস চালুকরণ, সরকারি উদ্যোগে তিনটি উপজেলায় তিনটি বড় মসজিদ নির্মাণের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বেসরকারি উদ্যোগে একটি বৃহৎ দর্শনীয় মসজিদ নির্মাণকরণ, প্রতি ইউনিয়নে একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদসহ সরকারি গোরস্থান ও একটি শ্মশান নির্মাণ, পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ইউনিয়নে একটি মিনি পার্ক, পাঠাগার, মিলনায়তন ও প্রশিক্ষণ কাম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা।
তিনটি উপজেলায় তিনটি পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্র কাম মিলনায়তন নির্মাণ করে পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু রাখার ব্যবস্থাকরণ এবং ছোট যমুনা, তুলসীগঙ্গা, ছিরি হারাবতী নদী খননের জন্য প্রস্তাবিত ১৪৬ কোটি টাকার পরিকল্পনাটি দ্রুত একনেকের অনুমোদন করে তা বাস্তবায়ন।