রাজন হত্যা

১১ সাক্ষী ফের সাক্ষ্য দেবেন আজ

সিলেটের শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন (১৪) হত্যা মামলার ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আজ বুধবার। তাঁরা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের সামনে সাক্ষ্য দেবেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালত গ্রেপ্তার হওয়া সব আসামির নাম-ঠিকানা পরীক্ষা করার দিন ধার্য করেন গতকাল মঙ্গলবার। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ‘রি-কল’ করার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আকবর হোসেন মৃধা পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের এ আদেশ দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের এই তালিকায় আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণকারী সিলেটের দুই বিচারিক হাকিম, রাজনের বাবা, মা ও চাচাসহ পুলিশের বরখাস্ত হওয়া দুই সদস্যও রয়েছেন।
এর আগে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্তির দিন গত রোববার সৌদি আরব থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফেরত আনা মামলার প্রধান আসামি কামরুলের উপস্থিতিতে সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেছিলেন তাঁর পক্ষের আইনজীবী। আদালত এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনায় সহায়তাকারী রাজনের পরিবারের নিয়োগ করা আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রি-কল আবেদন করেন। আদালত ১১ সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ মঞ্জুর করেছেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্টেশনে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে সবজিবিক্রেতা রাজনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর প্রধান আসামি কামরুল পালিয়ে সৌদি আরব চলে যান। মামলা হলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। অভিযুক্ত ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন কারাবন্দী। শামীম আহমদ ও জাকির ওরফে পাবেল ওরফে রাজু মিয়া নামের দুজন এখনো পলাতক।
১৫ অক্টোবর কামরুলকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মহানগর দায়রা জজ আদালতে সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণের দিন অভিযুক্ত অন্য আসামিদের সঙ্গে কামরুলকেও আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিনই কামরুলের পক্ষের আইনজীবী মামলার সব সাক্ষীকে রি-কল করার আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করে আসামিদের নাম-ঠিকানা পরীক্ষার জন্য গতকাল এবং যুক্তিতর্কের জন্য ২৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, নাম-ঠিকানাসহ সার্বিক বিষয় পরীক্ষার জন্য আসামিদের গতকাল দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অন্তত ১৫ জনের সাক্ষ্য পুনরায় নেওয়ার আবেদন করেন। বিচারক ১১ জনের পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণ মঞ্জুর করে আজ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য করেন।