হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর অনুসারী নেতারা বলেছেন, চক্রান্তের মাধ্যমে আবারও হেফাজতের নামে কোনো কমিটি ঘোষণা করা হলে তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করা হবে। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে নেতারা এই ঘোষণা দেন।
‘শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ)–এর ভক্তবৃন্দ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন হেফাজতে ইসলামের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম জাদিদ। তিনি বলেন, যারা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর হত্যা মামলার স্বীকৃত আসামি, তারা হেফাজতের কর্ণধার থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আহমদ শফীর রেখে যাওয়া আমানত হেফাজতে ইসলামের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। অচিরেই শীর্ষস্থানীয় ওলামাদের পরামর্শে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে শাহ আহমদ শফী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ও উসকানিদাতাদের বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান আহমদ শফীর কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ।
জুনায়েদ বাবুনগরী আহমদ শফী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত না উসকানিদাতা—এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়জুল্লাহ বলেন, তদন্তে যা এসেছে সেটিই বাস্তব।
হেফাজতের কমিটি গঠনের পর আনাস মাদানীকে আবার হাটহাজারী মাদ্রাসায় পুনর্বহাল করা হবে কি না, জানতে চাইলে ফয়জুল্লাহ বলেন, তিনি যে দায়িত্বে ছিলেন সেখান থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। অব্যাহতি দেওয়া বৈধ ছিল না। এখনো তিনি দায়িত্বে আছেন, কেবল শারীরিকভাবে উপস্থিত নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সমালোচনাকারীরা অপপ্রচার চালায় যে আহমদ শফীর অনুসারীরা সরকারের দালাল। আজ তারাই সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ধরনা দিচ্ছে সরকারি আনুকূল্য পাওয়ার জন্য। সরকারের শত বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলে মায়াকান্না কাঁদছে, এগুলো কি দালালি নয়?
সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমির মধুপুরের পীর মওলানা আবদুল হামিদ, মুফতি নুরুল আমিন ও রুহুল আমিন খান, আহমদ শফীর ছোট ছেলে আনাস মাদানি, আহমদ শফীর শ্যালক মো. মহিউদ্দিন, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাঈনুদ্দীন রুহী, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসানাত আমিনী, আলতাফ হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।