স্বামীর নৃশংসতায় দুই চোখ হারানো গৃহবধূ শিউলি আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ছেড়েছেন। শিউলির মেয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া আঁখি রাতে প্রথম আলোকে বলে, মাকে নিয়ে সে দিনাজপুরে তার নানা বাড়ি যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা এক মাস পর আবার আসতে বলেছেন।
৫ নভেম্বর বিকেলে টঙ্গীর জামাইবাজার এলাকার ভাড়া বাসায় স্বামী জুয়েল চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে চোখ তুলে তাঁর স্ত্রীকে ভেতরে রেখেই বাসা তালাবদ্ধ করে চলে যান। চিৎকার শুনে পরে প্রতিবেশীরা পুলিশের সহায়তায় ঘরের তালা ভেঙে শিউলিকে উদ্ধার করেন। প্রথমে তাঁকে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। পথে দীর্ঘ যানজটের কারণে উত্তরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। পরে রাত পৌনে একটার দিকে তাঁকে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক শওকত আরা শাকুর শিউলির অস্ত্রোপচার করেন। শিউলির চোখের ভেতরে এখন কিছু নেই। দুই চোখের ওপরে সেলাইয়ের জায়গাগুলো কুচকে আছে।
শিউলি বলেন, পাঁচ বছর আগে শিউলি জুয়েলকে বিয়ে করেন। জুয়েলের প্রথম বিয়ে হলেও এটি শিউলির দ্বিতীয় বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই দেখছেন স্বামী নেশা করে। আগের স্বামীর কাছ থেকে যে সম্পত্তি পাবেন, তা এনে দেওয়ার জন্য প্রায়ই তাঁকে মারধর করতেন জুয়েল। আর নেশার পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে তাঁর চরিত্র নিয়ে প্রায়ই সন্দেহ করতেন জুয়েল।