পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার হার্ডিঞ্জ ব্রিজে চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে পড়ে দুজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ঢাকা থেকে খুলনা যাচ্ছিল। ট্রেনটি হার্ডিঞ্জ ব্রিজে ওঠার পর ওই তিনজন যাত্রী ট্রেন থেকে নিচে পদ্মা নদীর চরের ওপর পড়ে যান।
রেল কর্তৃপক্ষের ধারণা, ওই তিনজন ট্রেনের ছাদে ছিলেন। ভোর চারটা ৫৭ মিনিটে ট্রেনটি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ অতিক্রম করছিল।
নিহত দুজন হলেন জালাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০) ও হাফিজার রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হাকিম (১৬)। আহত যাত্রী রেজাউল করিমের ছেলে মোহাম্মদ শান্ত (২১)। তাঁদের তিনজনেরই বাড়ি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শোলাগাড়িতে।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, পাকশী রেলওয়ে স্টেশনমাস্টারের কাছ থেকে খবর পেয়ে সকাল সাতটার দিকে ফায়ার সার্ভিস চর থেকে ওই তিনজন যাত্রীকে উদ্ধার করে। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা হাসনা হেনা জানান, আহত যাত্রী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাকশী রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় তাঁকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রীরা ট্রেনের ছাদে ছিলেন। সেতুতে ওঠার পর তাঁরা কোনোভাবে ছাদ থেকে নিচে পড়ে গেছেন।