চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। হাজীগঞ্জে গিয়ে আজ বুধবার তদন্তকাজ শুরু করেন চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামছুল আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন ও হাজীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তদন্তকাজ চলবে।
চাঁদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামছুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৩ অক্টোবর হাজীগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্তকাজ শুরু করা হয়েছে।
কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনার জেরে গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় হাজীগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এ সময় মিছিল থেকে হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার কয়েকটি মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে অনুপ কুমার সাহা নামের এক ব্যক্তি ২৮ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট পিটিশন করেন। সেই রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ঘটনাটির বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাজীগঞ্জে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর একজন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনসহ মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি এবং ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে আটটি মামলা করেছে। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহীম খলিল বলেন, মোট ১০টি মামলায় প্রায় ৫ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। আজ বুধবার পর্যন্ত আটক হয়েছে ১০২ জন।