হাইকোর্টে দ্বৈত বেঞ্চে এক দিনে ১৪৯৮টি জামিন আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি

সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

এক দিনে ১ হাজার ৪৯৮টি জামিন আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করেছেন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে করা এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুল আজ বুধবার নিষ্পত্তি করেছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারা অনুসারে ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও  ২০১৯ সালের পুরোনো ফৌজদারি বিবিধ মামলাগুলো দ্রুত শুনানি ও নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এর অংশ হিসেবে প্রধান বিচারপতি গত রোববার ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও  ২০১৯ সালের ফৌজদারি বিবিধ মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করার জন্য পৃথক ১৩টি দ্বৈত বেঞ্চ গঠন করে দেন। এসব মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করার জন্য বেঞ্চগুলো ২০ ও ২১ এপ্রিল বসবেন বলে বেঞ্চ গঠনসংক্রান্ত আদেশে উল্লেখ করা হয়।

১৩টি বেঞ্চের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বেঞ্চের বিশেষ উদ্যোগে অধিকসংখ্যক মামলা রেখে কার্যতালিকা প্রস্তুত করা হয়। বুধবার বেঞ্চটির কার্যতালিকায় ১ হাজার ৫০১টি জামিন আবেদন শুনানির জন্য ছিল। এসব আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিপূর্বে রুল হয়েছিল। জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন নেওয়ার পর সাধারণত রুল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয় না।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যমতে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে। আদালত বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত দেন। অপর দুটি আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় এবং একটি বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।

ওই বেঞ্চে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামিন নেওয়ার পর জামিন প্রশ্নে সাধারণত রুলের শুনানি হয় না। ফলে বছরের পর বছর রুল পড়ে থাকে, নিষ্পত্তি হয় না। এতে মামলাজট তৈরি হয়। প্রধান বিচারপতি মামলা জট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেল এ কাজে সহায়ক ভূমিকা রাখছেন। দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির নির্দেশে পুরোনো ওই মামলাগুলো সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলোতে পাঠানো হয়। হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চটির কার্যতালিকায় থাকা ১ হাজার ৫০১টি জামিন আবেদনের (রুল) মধ্যে হাইকোর্ট ১ হাজার ৪৯৮টি আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন, যা খুবই ইতিবাচক। মামলাজট নিরসনে এটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’