নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় জামিন পেয়েছেন আসামি রুহুল আমিন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের পর ওই নারীকে ধর্ষণের মামলার অন্যতম আসামি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এই রুহুল আমিন।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিনের এই আদেশ দেন।
আইনজীবী সূত্র বলেছে, ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী ৩১ ডিসেম্বর চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এজাহারে মো. সোহেল (৩৫), মো. হানিফ (৩০), মো. স্বপন (৩৫), মো. চৌধুরী (২৫), মো. বেচু (২৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশারফ (৩৫) ও ছালা উদ্দিনের (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়। এই মামলায় ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে ২ জানুয়ারি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আদালতে রুহুল আমিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশেক-ই-রসুল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। রুহুল আমিনকে এক বছরের জন্য জামিন দেওয়া হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানান বিশ্বজিৎ রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া শেষে এই আবেদনের ওপর ২৫ মার্চ চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হতে পারে। যতটুকু জানি, আসামি রুহুল আমিন কারামুক্তি পাননি।’
নির্যাতনের শিকার ওই নারী ৩০ ডিসেম্বর এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। ওই নারী বলেছিলেন, ভোটের দিন আসামিরা তাঁকে তাঁদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে এ নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে যুবকেরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর ওই দিন রাতে বাড়িতে গিয়ে তাঁরা মারধর ও ধর্ষণ করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের লোক।