সংসদ সদস্যপদ বাতিলের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার পর আপিল বিভাগে গেলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। আগামী রোববার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে তাঁর আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
অবশ্য ওই দিনই ইসিতে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ নিয়ে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচন কমিশনের শুনানির সময় বেলা ১১টায়। আর আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৯টায়। লতিফ সিদ্দিকীর বিষয়টি ওই দিনের কার্যতালিকার ৫ নম্বরে রাখা হয়েছে। আপিল বিভাগেই বোঝা যাবে, লতিফ সিদ্দিকীকে শুনানিতে যেতে হবে কি না।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে হজ নিয়ে মন্তব্য করায় লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রিত্ব যায়। একই সঙ্গে নিজ দল আওয়ামী লীগ থেকে তিনি বহিষ্কৃত হন। দল থেকে বহিষ্কারের পর লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ থাকবে কি না, তা মীমাংসার জন্য গত ১৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। নির্বাচন কমিশন আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন রেখেছেন।
অবশ্য এরই মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে যান। একই সঙ্গে ওই চিঠি কেন অবৈধ ও অকার্যকর ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে রুলের আরজি জানান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (আইন) ও স্পিকারকে রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়।
গতকাল বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।