হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনের যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে গতকাল সোমবার মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই দিন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তিন খুনের ঘটনায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন এবং পিরোজপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আমাদের আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
ফরিদপুর: ফরিদপুরে স্ত্রী দুলুফা বেগমকে (২০) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামী মিঠু দেওয়ানকে (২৮) মৃত্যুদণ্ড ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল এ আদেশ দেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বজলুর রহমান। এ সময় মিঠু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মিঠু সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুর ইউনিয়নের নাজিম হাওলাদার কান্দি গ্রামের শুকুর আলী দেওয়ানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৩ মে রাতে শ্বশুরবাড়িতে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় দুলুফাকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বাবু মোল্লা বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলীম এ হত্যাকাণ্ডে মিঠু ও তাঁর বাবা শুকুর আলী দেওয়ানকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি অভিযোগপত্র দেন। মামলার চলাকালীন সময় শুকুর আলীর মৃত্যু হয়। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
মেহেরপুর: গাংনীর জালশুকা গ্রামে বাবা-ছেলেসহ তিন খুনের মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য ২৪ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ টি এম মুসা ওই রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন গাংনীর জালশুকা গ্রামের ইউনুস আলী, একরামুল হক, মাসুদ রানা, আবুল কাশেম ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরুজ্জামান লাল্টু।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের ২৯ আগস্ট রাতে ৩০-৪০ জনের সশস্ত্র দল জালশুকা গ্রামের শওকত আলী মালিথার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর ছেলে হেলাল উদ্দিন ও প্রতিবেশী নুর ইসলামকে তুলে নিয়ে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন গাংনী থানায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর): পিরোজপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে আতাহার আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। গতকাল দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আতাহার আলী নাজিরপুরের বিলডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৪ মে রাতে বিলডুমুরিয়া গ্রামে ছেলে মো. মাসুমকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন আতাহার। পরে এ ঘটনায় মাসুমের স্ত্রী নূপুর আক্তার বাদী হয়ে আতাহার আলীকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন।