চলতি বছর থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশনের কাজও বাংলাদেশে হবে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ আজ শুক্রবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা ও কষ্ট লাঘব হবে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সৌদি আরব পর্বের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে আসা সৌদি প্রতিনিধিদল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। ওই সাক্ষাতে উভয় পক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কাজ সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে করার বিষয়ে একমত হয়।
উভয় পক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আসন্ন পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। মোট হজযাত্রীর ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও বাকি ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইনস পরিবহন করবে।
প্রচলিত রীতি অনুসারে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও সৌদি এয়ারলাইনসের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। আসন্ন হজেও একই নিয়মে তাঁরা আশকোনা হজ ক্যাম্প ও শাহজালালে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন। এরপর উভয় উড়োজাহাজের হজযাত্রীদের শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি ‘এক্সক্লুসিভ জোনে’ নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাদের সৌদি আরবের জেদ্দায় যে ইমিগ্রেশনের কাজ হতো, সেই কাজটি ওই ‘এক্সক্লুসিভ জোনে’ সম্পন্ন করা হবে। সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে হজযাত্রীরা নিজ নিজ উড়োজাহাজে যাত্রা করবেন। ‘এক্সক্লুসিভ জোনের’ সব কার্যক্রম থাকবে সৌদি আরব নিয়োজিত কারিগরি দলের হাতে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে আসন্ন হজ মৌসুমে হজ ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই দেশের আট বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হবে।
সৌদি আরবের ডিরেক্টর জেনারেল (পাসপোর্ট) মেজর জেনারেল সোলাইমান আব্দুল আজিজ ইয়াহ ইয়াহর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ৯ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সফর করছে। প্রতিনিধিদল ১০ ও ১১ এপ্রিল ইমিগ্রেশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে। তারা ঢাকার আশকোনায় হজ অফিস ও হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন ভেন্যু পরিদর্শন করেছে।
শুক্রবারের সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ।