প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা মনে করেন, নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে। সব প্রার্থী প্রচার চালাতে পারছেন, প্রচারে বাধা নেই।
আজ শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন সিইসি।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ভোটকক্ষের ভেতর থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না। তবে ভোটকেন্দ্রের বারান্দা বা মাঠ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। তবে ভোটকক্ষের ভেতর থেকে ছবি তোলা যাবে ও চিত্র ধারণ করা যাবে।
এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে কে এম নুরুল হুদা আরও বলেন, দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য আলাদা নীতিমালা আছে। নীতিমালা অনুযায়ী তাঁরা বেশিক্ষণ ভোটকক্ষের ভেতরে অবস্থান করতে পারবেন না। কক্ষের ভেতরে ছবি তুলে সরাসরি সম্প্রচারও করতে পারবেন না তাঁরা। অবশ্য প্রয়োজনে কেন্দ্রের বাইরে ছবি তুলতে পারবেন। কেন্দ্রের ভেতরে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। তবে সাংবাদিকেরা মোবাইলে ছবি তুলে পারবেন। একই সঙ্গে শৃঙ্খলার স্বার্থে সংবাদকর্মী ও পর্যবেক্ষকেরা যেন বড় বড় দলে ভোটকক্ষে প্রবেশ না করেন এবং বেশি সময় অবস্থান না করেন, সেই বিষয়ে আহ্বান জানান সিইসি।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তিনি মনে করেন নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়েছে। সব প্রার্থী প্রচার চালাতে পারছেন, প্রচারে বাধা নেই। ড. কামালের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এ ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটি তদন্ত করতে নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে পাঠানো হবে।
বিনা ওয়ারেন্টে বা ফৌজদারি মামলা ছাড়া কাউকে যেন অহেতুক গ্রেপ্তার করা না হয়, সেই ব্যাপারে দু-এক দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কে এম নুরুল হুদা। সারা দেশে হামলার খবরের বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনী তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ করা এবং ইন্টারনেটের গতি কমানোর বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন সিইসি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।