ঢাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. বারদান জাং রানা। নেপালের অধিবাসী ডা. বারদান তিন বছর ধরে এই দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তাঁর গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে। মহামারির সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত থেকে কাজ করেছেন। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিশির মোড়ল।
কোভিড পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ নানা সমস্যায় পড়েছে। সেগুলো আলোচিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব যেখানে এই মহামারি সামাল দিতে হিমশিম খেয়েছে, সেখানে কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ কোন কোন ক্ষেত্রে ভালো করেছে বলে আপনি মনে করেন?
বারদান জাং রানা: মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মতো বাংলাদেশও যথাসম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনা পরীক্ষার সক্ষমতা ধাপে ধাপে বাড়ানো, কোভিড-১৯–এ আক্রান্তদের আলাদা জায়গায় রাখা ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা লোকদের শনাক্ত করা, এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া এবং করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সঠিক তথ্য দিয়ে সব শ্রেণির মানুষকে মহামারি মোকাবিলায় শামিল করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট তৎপরতা দেখিয়েছে।
আসলে এই মহামারির বিরুদ্ধে এখনো বিশ্বের সব দেশ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ তাদের বাইরের কোনো দেশ নয়। তবে সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও কোভিড-১৯ মোকাবিলার সরঞ্জামের অপ্রতুলতার মধ্যেও বাংলাদেশ যেভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে, তা অবশ্যই প্রশংসনীয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঢাকা কার্যালয় করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে কী কী পরামর্শ ও সহায়তা দিয়েছে?
বারদান জাং রানা: মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সব পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কোভিড-১৯ মোকাবিলার প্রস্তুতিপর্ব থেকে শুরু করে মূল লড়াইপর্বে বাংলাদেশকে এই আন্তর্জাতিক সংস্থা সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
সরকার প্রথম যখন আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনা পরীক্ষার কাজ শুরু করে, তখনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। এই সংস্থাসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীরা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ, কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং, রোগীর নমুনা সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), টেস্টিং কিটসহ অন্য চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা বাংলাদেশ কতটা অনুসরণ করেছে?
বারদান জাং রানা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বৈশ্বিক নির্দেশনা বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নের সহায়ক বিষয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। স্থানীয় সুনির্দিষ্ট অবস্থা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে দেশগুলো নিজেদের মতো নীতি গ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার উচ্চ জনঘনত্বের মতো কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয় আছে, যাকে বৈশ্বিক নির্দেশিকার আলোকে স্থানীয়করণ করে সে অনুযায়ী স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করা দরকার।
এ কারণে স্থানীয় সুনির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট ও স্থানীয় পটভূমির সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে বৈশ্বিক নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করা যেতে পারে, সে জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে কিছু সাফল্য রয়েছে বলে দাবি করা হয়। কোন কোন ক্ষেত্রের সাফল্যকে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করে? এ সাফল্যের কারণগুলো কী কী?
বারদান জাং রানা: কোভিড-১৯ মহামারি সারা বিশ্বের সব দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার শক্তি ও দুর্বলতা প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের একটি শক্তি হলো দেশটির কমিউনিটি ক্লিনিকের নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে একটি বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকে কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষের জন্য স্বাস্থ্য পরামর্শ গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। মহামারির শুরুতে ব্যাপকভাবে কার্যক্রম বাড়ানো টেলিমেডিসিন সেবা এবং এই নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরে ব্যাপক মাত্রার ভিড় এড়ানো সম্ভব হয়েছে এবং গুরুতর রোগীদের প্রয়োজনে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব করেছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী ও সফল এমন কোনো উদ্যোগ আছে কি, যা অন্য দেশে কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে?
বারদান জাং রানা: বাংলাদেশের জোরালো টিকাদান কর্মসূচিকে এ ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী উদাহরণ বলা যেতে পারে। তাদের এই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির দৃষ্টান্ত অন্য দেশগুলো বিশেষ করে কোভিড-১৯–সংক্রান্ত টিকাদান কর্মসূচির ক্ষেত্রে অনুসরণ করতে পারে। যে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, এখানে যেভাবে যথাসময়ে টিকা পাওয়া যায় এবং সেগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, তা অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণীয় মডেল হতে পারে।
সরকারের আরেকটি দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ হলো সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ রক্ষা করে চলা। সরকার এবং তার সামাজিক অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কোভিড-১৯–এর বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়েছে। বিশেষ করে মাস্ক পরা, শারীরিক স্পর্শ থেকে পরস্পরের দূরত্ব বজায় রাখা এবং যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে এই নেটওয়ার্ক ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে। এই নেটওয়ার্কের কারণেই বর্তমানে কোভিড-১৯–সংক্রান্ত গুজব ও তথ্যবিকৃতির মাত্রা অনেক কমে এসেছে এবং জনসচেতনতা অনেক বেড়েছে।
এখন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই জনসচেতনতাকে বাস্তবে রূপান্তর করতে হলে আনুষঙ্গিক আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
করোনা মহামারি আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সামগ্রিক কী কী দুর্বলতাকে তুলে ধরেছে। করোনা–পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য খাত পুনর্গঠনে কোন কোন জায়গায় বেশি জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে?
বারদান জাং রানা: এই মহামারি মোকাবিলায় ঘুরে দাঁড়ানোর ডাক দরকার, যাতে স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরও আধুনিক ও উন্নত পর্যায়ে নেওয়া যায়। এ লক্ষ্য অর্জনে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে, পর্যাপ্তসংখ্যক দক্ষ ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী সঠিকভাবে সঠিক জায়গায় নিয়োগ করতে হবে, সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ বাড়াতে হবে এবং স্বাস্থ্য তথ্যের ব্যবস্থাকে জোরদার করতে হবে। এর বাইরে টিকা ও স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম পরিচালনা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর বিষয়ে নজরদারি জোরদার করতে হবে।
ভবিষ্যতে আরও মহামারি আসতে পারে, তা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে কোন বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করেন?
বারদান জাং রানা: উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা ভবিষ্যতের একই ধরনের সংকট মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের সংকট আসতে পারে, তা মাথায় রেখে পূর্বপ্রস্তুতি রাখাও জরুরি। যদিও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশগুলোকেও করোনা মোকাবিলায় আমরা যথার্থভাবে প্রস্তুত থাকতে দেখিনি, তবে আমরা আশা করি তারাসহ সবাই পূর্বপ্রস্তুতি রাখার গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছে।
এ ধরনের বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক বিস্তৃতিসম্পন্ন বিশদ কর্মকৌশল এবং সব সমাজের মধ্যে ধারাবাহিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা সাধারণ জনগণকে নিজ নিজ সুরক্ষায় সচেতন ও সক্ষম করে তুলবে।
পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত চিকিৎসাসেবানির্ভর বা ক্লিনিক্যাল বিষয়ের ওপরই বেশি জোর দেয়। কিন্তু স্বাস্থ্য একটি সামগ্রিক বিষয় এবং জনস্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বিষয়টি নিশ্চিত করা কঠিন। এখানে নীতিগত কী পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করেন?
বারদান জাং রানা: এমনিতেই স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা পূরণে বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। তার মধ্যে করোনার প্রকোপ সেই ঘাটতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমাদের স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা ও তা পূরণের বিষয়টিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশকে স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করতে হবে। সেই স্বাস্থ্যনীতিতে রোগপ্রতিরোধ, প্রাথমিক স্ক্রিনিং ও শনাক্তকরণের ওপর জোর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মীদের নিজ নিজ ভূমিকা বাড়াতে হবে।
স্থানীয় পর্যায়ের কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের কার্যক্রম যে প্রতিরোধমূলক, প্রচারমূলক ও নিরাময়মূলক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে কার্যকর এবং স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া বিষয়ে অসমতা যে তাঁরাই দূর করতে পারেন, সে বিষয়টির স্বীকৃতি দিন দিন বাড়ছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অর্জনের অন্যতম প্রধান কাজ হিসেবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে জোরদার করতে হবে।
জনস্বাস্থ্যকে সামনের কাতারে আনতে নীতি আলোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়নে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন? সেখানে কার কী ভূমিকা?
বারদান জাং রানা: করোনা মহামারি জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে নীতি আলোচনার সামনে নিয়ে এসেছে। আমরা সবাই যখন এই মহামারির ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে সীমিত গণ্ডির মধ্যে রাখার জন্য নিরন্তর লড়াই করে যাচ্ছি, তখন আমাদের এই দীর্ঘ মেয়াদে জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে নীতি আলোচনা করতে হবে। কারণ, দীর্ঘমেয়াদি জনস্বাস্থ্যনীতি না থাকার কারণে কী ধ্বংসাত্মক প্রভাব মোকাবিলা করতে হয়, তা আমরা এখন বুঝতে পারছি।
জনস্বাস্থ্য কোনো একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। সমাজের নানা খাত এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে। শিক্ষা, পরিবেশ, অবকাঠামো এবং এ ধরনের আরও অনেক খাত আছে, যেগুলোর সঙ্গে জনস্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। এ কারণে জনস্বাস্থ্য–সংশ্লিষ্ট সব খাতকে সমন্বিতভাবে একযোগে, এক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার তুলনায় বাংলাদেশে নগরের স্বাস্থ্যসেবা দুর্বল। বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কার্যকর কোনো নেটওয়ার্ক বা শক্তিশালী অবকাঠামো নেই। নগর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েও বিশৃঙ্খলা রয়েছে। বর্তমানে স্থানীয় সরকারের হাতে এই দায়িত্ব ন্যস্ত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ খুব সংশ্লিষ্ট নয়। এখানে শৃঙ্খলা আনার বা যৌক্তিকভাবে দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করার পথ কী?
বারদান জাং রানা: বৈশ্বিক সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিষয়ক কিছু সাহসী ও জটিল লক্ষ্য অর্জনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই যৌথ উদ্যোগ সব মানুষের স্বাস্থ্যসেবার অধিকার নিশ্চিত করবে। নগর এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে এমন সমন্বিত বহু খাতভিত্তিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে, যাতে প্রশাসনের সব স্তরে সমন্বয় থাকে এবং সেই কাঠোমোয় বিদ্যমান নাজুক অবস্থা ও সমস্যাকে আমলে নিয়ে সুরক্ষা ব্যবস্থার বাইরে থাকা জনসাধারণকে চিহ্নিত করে তাদের সুরক্ষাবলয়ে আনা সম্ভব হয়।
চর, বস্তি, চা–বাগান বা পার্বত্য এলাকা স্বাস্থ্যসূচকে পিছিয়ে। এসব এলাকার মানুষের সমস্যা নিয়ে কথা হয়। কিন্তু এদের স্বাস্থ্যের উন্নতি সেভাবে হচ্ছে না। জটিলতা কোথায়, করণীয় কী?
বারদান জাং রানা: প্রান্তিক পর্যায়ের, বিশেষ করে যাবতীয় সুবিধা থেকে দূরে থাকা মানুষকে লক্ষ্যে রেখে ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ তাদের কাজ চালাচ্ছে। এসব মানুষের অভাব-অভিযোগ আমলে নিয়ে স্থানীয় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রথম আলো: ধন্যবাদ।
বারদান জাং রানা: ধন্যবাদ।