কোটিপতি স্বামী বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ মো. শহিদুজ্জামানের (বেল্টু) স্ত্রী মোছা. মুর্শিদা জামানের কোনো স্বর্ণালংকার নেই। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে মুর্শিদা জামানের প্রায় ৩৩ লাখ ৫৪ হাজার ১ টাকার সম্পদ ছিল। বর্তমানে তাঁর কিছুই নেই। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা মনোনয়নপত্রের হলফনামায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে শহিদুজ্জামানের জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, সেই সময় তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা জামানের ১০ তোলা স্বর্ণ ছিল, যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। স্ত্রীর হাতে নগদ টাকাই ছিল ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এবার সেখানে শূন্য দেখা গেছে।
মো. শহিদুজ্জামান ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার হাসানহাটি গ্রামের মাফি উদ্দিনের ছেলে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দিয়ে ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ উপজেলা ও সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন) আসনে প্রথমবারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনি ওই আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী শহিদুজ্জামান আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নানের কাছে ৪ হাজার ৬৭৭ ভোটে পরাজিত হন। এবারের নির্বাচনে তিনি বিএনপির পক্ষে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছেন।
এবারের সংসদ নির্বাচনে তাঁর দেওয়া হলফনামায় দেখা গেছে, তাঁর নগদ টাকা আছে ২ কোটি ৪৩ লাখ ২৭ হাজার ৯০১ টাকা। ২০০৮ সালে ছিল ১ কোটি ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৯০৩ টাকা। তাঁর বর্তমানে ব্যাংকে জমা আছে ১৮ হাজার ২৮০ টাকা। কৃষিজমি আছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের আর অকৃষিজমি আছে ৬১ শতক ৩ কাঠা। দালান, আবাসিক, বাণিজ্যিক, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্ট আছে প্রায় ২ কোটি টাকার। ব্যাংকঋণ আছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৮ টাকা।
২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর নগদ ২২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে জমা ১ লাখ ১৫০ টাকা আর স্ত্রীর নামে ১৭ হাজার ১ টাকা। দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে তাঁর ৫ হাজার টাকার শেয়ার ছিল, তাঁর স্ত্রীরও ছিল সমপরিমাণ শেয়ার। তাঁর স্ত্রীর নামে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ছিল। এবার সেখানে কিছুই নেই উল্লেখ করা হয়েছে। ২০০৮ সালে স্ত্রীর নামে ৩৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের দুটি বাড়ি ছিল। বর্তমানে স্ত্রীর নামে আর কোনো বাড়ি নেই।