এবারের হজ শেষ পর্যন্ত হবে কি না, তা সৌদি আরবের সিদ্ধান্ত ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করছে। চলমান পরিস্থিতিতে হজ হবে কি না, সে বিষয়ে সৌদি সরকারের পক্ষে থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশের ৬৫ হাজার হজযাত্রী হজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছরের ৩০ জুলাই হজ হতে পারে।
ধর্মবিষয়ক সচিব মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি, সৌদি আরব কিছুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। তাদের সিদ্ধান্ত পেলে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ও জনগণের জন্য যেটা ভালো, সেই সিদ্ধান্ত নেবে।’
যদি এ বছর নিবন্ধিত হজযাত্রীরা হজে না যেতে পারেন, তাহলে কী করা হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ধর্মসচিব বলেন, ‘তাঁরা যদি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে হজে না যেতে পারেন, তাহলে আগামী বছর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেতে পারবেন।’
হজ এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বের হজযাত্রীরা পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত দেবে সৌদি সরকার। বাংলাদেশের ৬৫ হাজার ৫১২ নিবন্ধনকারী হজযাত্রী হজের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, হজ নিবন্ধনের সময় কয়েক দফা বাড়ানোর পর শেষ দফায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে মাত্র ৬৫ হাজার ৫১২ জন নিবন্ধন করেছেন।
এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি হজ পালনে সরকার পরিচালিত সর্বনিম্ন ব্যয় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করে প্যাকেজ-৩–এর আওতায় হজ প্যাকেজ-২০২০–এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ।
এবার করোনা পরিস্থিতিতে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত এখনো না পাওয়ার কারণে হজযাত্রী নিবন্ধিত সংখ্যা অনেক কম।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ২৭ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি আরবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে সৌদি সরকার। ৫ মার্চ মক্কার বাইরের লোকদেরও ওমরা পালন ও মসজিদে নববীতে গমন নিষিদ্ধ করে। তারপরই তাওয়াফ, সাফা–মারওয়ায় সায়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর মূলত এবারের হজ কার্যক্রম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে।