কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় আজ রোববার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে শুকরানা মাহফিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাহফিলের প্রধান অতিথি।
কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’–এর ব্যানারে এই শুকরানা মাহফিল হচ্ছে। হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী সংগঠনটির চেয়ারম্যান। তিনি ইতিমধ্যে মাহফিলে পৌঁছেছেন। বেলা ১১ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেখানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে সকাল থেকেই মাহফিলে বিভিন্ন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেওয়া শুরু করেছেন।
মাহফিল উপলক্ষে সারা দেশ থেকে কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ইমামদের ঢাকায় আনা হয়েছে। সকাল থেকে ঢাকার বাইরে থেকে আসা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আসা শুরু করেন। তাঁদের বহনকারী বাস শুকরানা মাহফিল উপলক্ষে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে রেখে তাঁরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা হোন। অনেকেই হেঁটেই পৌঁছান সেখানে।
নরসিংদীর দারুল তাকওয়া মাদ্রাসা থেকে আসা দুজন শিক্ষক নুরুল আমিন ও ফয়জুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তাঁদের ১২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে একটি বাস রিজার্ভ করে আজ সকালে তাঁরা ঢাকা পোঁছান। তিনি জানান, ভোরে তাঁরা নরসিংদী থেকে রওনা হন। ব্রাহ্মনবাড়িয়া, সিলেট, নরসিংদী সহ ওই অঞ্চলের বাসগুলোকে তেজগাঁও এলাকায় রাখতে হয়েছে। বাস রেখে তাঁরা হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছেছেন। ওই দুই শিক্ষক দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তেরর স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
নরসিংদীর নাদিয়াতুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক রমজান আলী জানান, তাঁদের মাদ্রাসায় ৪০ জন ছাত্রী রয়েছে। তবে মাহফিলে শুধু তাঁরা শিক্ষকেরা অংশ নিতে এসেছেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে সকাল ১০টার দিকেই কওমি মাদ্রাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সমাগম হতে দেখা যায়।
শাহবাগ মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দীর দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়েছে, বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়।