ইরানি জ্যামিতি অলিম্পিয়াডের ৫ম আসর থেকে বাংলাদেশ একটি স্বর্ণ, ছয়টি রৌপ্য ও তিনটি ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। শুক্রবার আয়োজক কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে এই ফলাফল ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশের পক্ষে এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ জয়দীপ সাহা উন্মুক্ত ক্যাটাগরিতে পাঁচটি সমস্যার নিখুঁত সমাধান করে (৪০ এ ৪০) প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক লাভ করে। এ ছাড়া একই ক্যাটাগরিতে এইচএসসি উত্তীর্ণ তামজিদ মোরশেদ রুবাব ও মেহেদী হাসান নওশাদ ব্রোঞ্জ পদক, অ্যাডভান্স ক্যাটাগরিতে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের আহমেদ ইতিহাদ হাবীব, নটর ডেম কলেজের সাদ বিন কুদ্দুস, রাইয়ান জামিল ও মাশরুর হাসান ভূঁইয়া ও এসএএস হারম্যান মেইনার কলেজের আহসান আল মাহির লাজিম রৌপ্য পদক এবং এলিমেন্টারি ক্যাটাগরিতে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল ও কলেজের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইপ্সিতা জাহান রৌপ্য ও সিরাজগঞ্জ স্কলার স্কুলরে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নবনীতা পাল ব্রোঞ্জ পদক লাভ করে।
প্রসঙ্গত, জয়দীপ সাহা ও তামজিদ মোর্শেদ রুবাব চলতি বছর রোমানিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্যামিতিক দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ২০১৪ সালে ইরানের উদ্যোগে এই আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড শুরু হয়। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের উদ্যোগে ডাচ বাংলা ব্যাংক ও প্রথম আলোর সহযোগিতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ২০১৬ সাল থেকে এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিচ্ছে। এবারের অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশ সহ মোট ৫৬টি দেশের ৭০৩ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। অংশগ্রহণকারীরা দেশীয় আয়োজকদের তত্ত্বাবধানে নিজ দেশে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগীদের চার ঘণ্টায় পাঁচটি জ্যামিতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়।
গত ৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক প্রথম আলোর কারওয়ান বাজারের কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কক্ষে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারীরা লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। নিয়মানুযায়ী বাংলাদেশি মূল্যায়নকারীদের মূল্যায়নের পর এসব উত্তরপত্র ইরানে পাঠানো হয়। পরে তাদের মূল্যায়ন শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়।