চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ৭৫ ত্রিপুরা পরিবার যাতে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে ও তাঁদের উচ্ছেদ না করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘পাড়া ছেড়ে না গেলে মেরে ফেলা হবে’ শিরোনামে গত ১৫ মে দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করনে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করে পরিবারগুলোর উচ্ছেদ রোধে ব্যার্থতা চ্যালেঞ্জ করে ৮ জুন হাইকোর্টে ওই রিটটি করে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ায় বসবাসরত ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে ওই এলাকা ছেড়ে না গেলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবুল খায়ের গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে। কাঞ্চন কুমার ত্রিপুরা নামে ওই পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘গতকাল (১৪ মে, শুক্রবার) আনসার বাহিনীর সদস্যসহ আবুল খায়ের গ্রুপের প্রায় ৫০ জন এসে আমাদেরকে পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যান। পাড়া ছেড়ে না গেলে আমাদেরকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।’
পরে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, সোনাইছড়ি ত্রিপুরা পাড়ার ৭৫ ত্রিপুরা পরিবারকে যাতে উচ্ছেদ না করা হয় এবং তাঁরা যাতে সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে পারে সে জন্য আবুল খায়ের গ্রুপসহ অন্যদের বিরত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে।
৭৫ ত্রিপুরা পরিবারকে উচ্ছেদের প্রক্রিয়া রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, ভূমি সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।