নীলফামারীর সৈয়দপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যবসায়ীর (৩০) নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন ‘পজিটিভ’ এসেছে। গতকাল সোমবার রাতে সৈয়দপুরে তাঁরসহ পাঁচজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় কোভিড–১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২৩।
এদিকে নয়াটোলা এলাকার ওই ব্যবসায়ীর এক বন্ধু (৩০) করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিজ বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য আগেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এখনো প্রতিবেদন আসেনি। এর আগে গতকাল সৈয়দপুর শহরের এক নারী (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সৈয়দপুর থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য ৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে নীলফামারী সিভিল সার্জনের মাধ্যমে দিনাজপুরের এম রহিম মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে ওই ৩০ জনের মধ্যে ৫ জনের ‘করোনা পজিটিভ’ প্রতিবেদন আসে। এর মধ্যে সৈয়দপুর পৌর এলাকার নয়াটোলার ওই ব্যবসায়ীও আছেন। গত রোববার করোনার উপসর্গ নিয়ে তিনি মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু মো. আলেমুর বাসার জানান, সৈয়দপুরে এ পর্যন্ত মোট ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিদের সৈয়দপুর হাসপাতাল ও নীলফামারী হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার জানান, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি এই করোনাকালে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্বসহ সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।