ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৫০ লাখ করোনার টিকা আজ সোমবার ঢাকায় এসেছে।
টিকা বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ ফ্লাইট আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দর থেকে টিকা নিয়ে যাওয়ার জন্য সকালেই সেখানে চলে আসে বেক্সিমকোর একাধিক ফ্রিজার ভ্যান।
বিমানবন্দর থেকে এই টিকা বেক্সিমকোর টঙ্গীর গুদামে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সারা দেশে পাঠানোর আগে এই টিকা সরকারি ওষুধ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র নেওয়া হবে।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, বিমানন্দর থেকে টিকা নেওয়া হবে বেক্সিমকোর টঙ্গীর নতুন সংরক্ষণাগারে। তারপর সরকারের চাহিদা অনুযায়ী এই টিকা ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেক্সিমকোর একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রতিটি ব্যাচের টিকা সরকারের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করানো হবে। এই টিকা ভারতের পুনে থেকে টঙ্গী পর্যন্ত আসার সময় তাপমাত্রার কোনো হেরফের হয়েছে কি না, হেরফের হলে তার প্রভাব টিকার ওপর পড়বে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য টিকা পরীক্ষা করোনা হবে।
সরকার, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যকার ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে এই টিকা কেনা হয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকা কোভিশিল্ড নামে উৎপাদন করছে সেরাম। দেশে এই টিকা সরবরাহ করছে বেক্সিমকো।
চার দিন আগে ভারতের উপহার হিসেবে ২০ লাখ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। আর সেরাম থেকে ছয় মাসে তিন কোটি টিকা কেনার চুক্তি আছে। অন্যদিকে কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বাইরে আরও টিকা কেনার পরিকল্পনা আছে সরকারের।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেছেন, সরকারকে ৩ কোটি টিকা সরবরাহের বাইরে বেক্সিমকো আরও ১০ লাখ টিকা আনবে। এই টিকা মূলত ওষুধশিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের দেওয়ার জন্য আনা হচ্ছে। তবে এই টিকা খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে না।
রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে আগামী বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে সরকারের। এর আগের দিন একটি হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান শুরু হওয়ার কথা আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন বলে একাধিক কর্মকর্তা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলেছেন।