সেনাবাহিনীর সৈনিক থেকে মেজর পর্যন্ত দুই বছর এবং লে. কর্নেল থেকে লে. জেনারেল সমমানের পদে চাকরির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এতে অনুমোদন দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপতির দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, সাত দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে। নৌ ও বিমানবাহিনীতে একইভাবে চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হবে।
বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনার পর নির্বাচনের আগ মুহূর্তে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলো। এর আগে গত ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সব পর্যায়ের সরকারি কর্মচারীদের চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৫৭ থকে ৫৯ বছর করা হয়। তখন সেনাবাহিনীর জন্য চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হয়নি।
সেনাসদস্যদের চাকরির বয়স পদমর্যাদা অনুসারে নির্ধারিত। বর্তমানে নির্ধারিত কয়েকটি কোর ছাড়া অন্য সব সার্ভিসের মেজর ও তার নিচের পদের কমিশন্ড কর্মকর্তাদের চাকরিসীমা ২৩ বছর ও বয়সসীমা ৪৮ বছর। লে. কর্নেল পদের জন্য চাকরিসীমা ২৫ বছর ও বয়সসীমা ৫০ বছর। কর্নেল পদের চাকরিসীমা ২৭ বছর ও বয়সসীমা ৫২ বছর। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদের চাকরিসীমা ২৮ বছর ও বয়সসীমা ৫৩ বছর। মেজর জেনারেলদের চাকরিসীমা ৩০ বছর ও বয়সসীমা ৫৫ বছর। আর লে. জেনারেলদের জন্য চাকরিসীমা ৩২ বছর এবং বয়সসীমা ৫৭ বছর। সেনাবাহিনীতে সর্বোচ্চ পদমর্যাদার জেনারেল নির্ধারিত রয়েছে শুধু সেনাপ্রধানের জন্য। এর বাইরে চিকিৎসা, প্রকৌশল ও শিক্ষা কোরের কর্মকর্তাদের চাকরির বয়সসীমা আলাদা আলাদা।
আর সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের চাকরির বর্তমান মেয়াদসীমা ২১ বছর, ল্যান্স করপোরালদের ২২, করপোরালদের ২৩ আর সার্জেন্টদের ২৪ বছর। জেসিও বা জুনিয়র কমিশন্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে ওয়ারেন্ট অফিসারদের ২৭, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসারদের ২৯ এবং মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসারদের ৩৩ বছর।