প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আবার পিছিয়েছে। রায় ঘোষণার নতুন তারিখ আগামী ৯ নভেম্বর।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার নতুন এই তারিখ ঠিক করেন। প্রথম আলোকে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।
পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, এই মামলায় আজ রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আজ রায় হচ্ছে না। আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৯ নভেম্বর নতুন তারিখ রেখেছেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর এই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। পরে রায় ঘোষণার জন্য ৫ অক্টোবর তারিখ ধার্য করা হয়। কিন্তু বিচারক শেখ নাজমুল আলম ছুটিতে থাকায় সেদিন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়নি।
৫ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন রায় ঘোষণার জন্য ২১ অক্টোবর ধার্য করেন। আজ রায় ঘোষণার জন্য আবার নতুন তারিখ দিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—তৎকালীন ফারমার্স ব্যাংকের নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি, ফারমার্স ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক ক্রেডিটপ্রধান গাজী সালাহউদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, সাবেক ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট লুৎফুল হক, গুলশান শাখার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী, এস কে সিনহার কথিত পিএস রণজিৎ চন্দ্র সাহা, রণজিতের স্ত্রী সান্ত্রী রায়, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।
মামলায় চার আসামি পলাতক। তাঁরা হলেন এস কে সিনহা, সফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও সান্ত্রী রায়।
মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, এই মামলায় দুদকের পক্ষ থেকে ২১ সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ২৪ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। গত বছরের ১৩ আগস্ট এস কে সিনহাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।