নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামীকে আটকে রেখে ছয় সন্তানের মাকে (৩৫) গণধর্ষণের মামলায় প্রধান আসামিসহ চার আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম বেচু মাঝির (৩৫) দুইদিন এবং অপর তিন আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুনানি শেষে আজ রোববার নোয়াখালীর ৪ নম্বর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া তিন আসামি হলেন মো. রুবেল (২২), আরমান (২৪) ও মো. রায়হান (২০)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চর জব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইব্রাহিম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিনের রিমান্ডে থাকা মামলার ২ নম্বর আসামি আবুল বাসারকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাঁর আরও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। পরবর্তী ধার্য তারিখে আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মামলার ৩ নম্বর আসামি ফজলু (২৫) আজ দুপুরে একই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। যে তিনজনের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এজাহারে করা হয়েছে ফজলু তাঁদের একজন। আত্মসমর্পণের বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, তাঁকেও রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় এ পর্যন্ত এজাহারভুক্ত আটজন আসামিই কারাগারে। তার মধ্যে পাঁচজন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আর বাকি তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান পদে তাজ উদ্দিন ‘চশমা’ ও ফরহাদ হোসেন চৌধুরীর ‘তালা’ প্রতীকে প্রার্থী ছিলেন। দুজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। চশমা প্রতীকে ভোট দেওয়া নিয়ে তালা প্রতীকের সমর্থক ইউছুফ মাঝির সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে ওই নারী (৩৫) ও তাঁর স্বামীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। তখন ইউছুফ মাঝি তাঁদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
হুমকির কারণে স্বামী-স্ত্রী বাড়িতে না গিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। পরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে ১০-১২ জন তাঁদের পথরোধ করে মারধর করেন। এর মধ্যে বেচু মাঝি (৩৫), ফজলু (৩০) ও আবুল বাসার (২৫) ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।