রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ সুন্দরবনের চারপাশে অনুমোদন দেওয়া সব শিল্প-কারখানা নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
পরিবেশ আইনে সুন্দরবনের চারপাশের শিল্প কারখানা অনুমোদন দেওয়ার বিধান না থাকলেও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দেড় শ শিল্প কারখানাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে নেতৃবৃন্দ তা বাতিলের দাবি জানান। তাঁরা এসব দাবিতে ২৬ জানুয়ারি জাতীয় কমিটির ডাকা অর্ধদিবস হরতাল পালনে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ রোববার ওই অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে পদযাত্রার আয়োজন করে জাতীয় কমিটি। প্রেসক্লাব থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ওই পদযাত্রায় জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় তাঁরা হরতালের পক্ষে আশপাশের এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন। এর আগে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন ধ্বংস করে দেশের উপকূলের পাঁচ কোটি মানুষ ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মুখে অরক্ষিত হয়ে পড়বে। সুন্দরবনের ওপরে নির্ভরশীল লাখ-লাখ মানুষের জীবিকা ধ্বংস হয়ে যাবে। সুন্দরবন রক্ষায় যার যার অবস্থান থেকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বজলুর রশিদ ফিরোজ ও গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি বক্তব্য দেন।