সুনামগঞ্জে নতুন করে আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলেন পাঁচজন। জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার সকালে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নতুন শনাক্ত চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
সুনামগঞ্জে ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে সুনামগঞ্জ জেলা লকডাউন। সুনামগঞ্জে প্রথম শনাক্ত হওয়া রোগীর বাড়ি জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তিনি একজন নারী। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে শনাক্ত হওয়া চার ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ২০ এপ্রিল। এর মধ্যে দুজনের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। এই দুজনের মধ্যে একজন নারী। ওই নারীর বয়স ২০, অন্যজনের বয়স ২৬। বাকি দুজনের একজনের বাড়ি জগন্নাথপুর উপজেলায়, তাঁর বয়স ১৮; অন্যজনের বাড়ি ছাতক উপজেলায়, তার বয়স ৩৮।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এদের প্রত্যেকের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। এরা বর্তমানে বাড়িতেই অবস্থান করছেন। তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সকালে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। যদি কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার মনে হয় তাহলে সেটি করা হবে। না হলে বাড়ি রেখেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি ওই বাড়ি লোকজনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
সুনামগঞ্জ প্রথম শনাক্ত হওয়া ওই নারীসহ সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন দুজন। অন্যজন ঢাকায় আক্রান্ত হওয়ার পর পালিয়ে সুনামগঞ্জে চলে আসেন। আইইডিসিআর থেকে বিষয়টি জানানোর পর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাকে ধরে এনে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখেন।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিদিনই নমুনা সংগ্রহ করে সিলেটে পাঠানো হচ্ছে। নতুন করে শনাক্ত হওয়া চারজনের পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। আক্রান্তদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার সেটি করা হবে।