চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে লাগা আগুন প্রায় ২০ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল।
আজ রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়, আগুন লাগা কনটেইনারগুলোয় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওপর থেকে যন্ত্রের সাহায্যে পানি ছিটাচ্ছেন। কিছু কিছু জায়গায় জ্বলছে আগুন। আর কিছু জায়গায় উঠছে ধোঁয়া।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
আশপাশের গ্রামগুলোয় ছাই আর পোড়া গন্ধে বিপাকে শিশু, বৃদ্ধরা
একনজরে সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ
নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবার পাবে ২ লাখ টাকা
আগুন, উত্তাপ ও ধোঁয়া ছড়িয়েছে আড়াই বর্গকিলোমিটারজুড়ে
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯, আগুন এখনও জ্বলছে
গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই শতাধিক মানুষ আহত হন।
রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেকে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া আজ সকালেও বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী জানিয়েছেন।
বিকালে সরেজমিন দেখা যায়, কনটেইনার ডিপোর ভেতর থেকে লাশের অপেক্ষায় আছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা। ক্লান্ত দেখা গেছে ফায়ার সার্ভিসের অনেক সদস্যকে। এরপরও তাঁরা ঘটনাস্থলের অনেক দূর থেকে নিয়ে পানি আসছেন।
কনটেইনার ডিপোর পাশে থাকা বেশ কয়েকটি কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এগুলোর ভেতর কাগজের কার্টনে বেশ কিছু মালামাল দেখা গেছে। এগুলো থেকে ধোঁয়া উঠছে। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে পুরো এলাকা।