সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোয় ভয়াবহ বিস্ফোরণে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফায়ার সার্ভিস বলেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তাঁদের একজন কর্মী আছেন।
বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
হতাহত ব্যক্তি উদ্ধার হলেই সাইরেন বাজিয়ে চলে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স
অ্যাম্বুলেন্স এলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন তাঁরা
গতকাল শনিবার রাতে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
গতকাল রাত থেকে আজ সকালে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একে একে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হয়েছে।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের পরিচয় জানা যায়নি। সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণে তাঁদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত পাঁচ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ সকালেও সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোর ভেতর থেকে ছয়জনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। লাশগুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
ডিপোর ভেতর থেকে উদ্ধার করা লাশগুলোর মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেলেও অন্যদের নাম–পরিচয় জানা যায়নি। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীও রয়েছেন।
ডিপোর ভেতর থেকে উদ্ধার করা লাশের মধ্যে যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে, তাঁরা হলেন ডিপোর আইসিটি কাউন্টারে কতর্ব্যরত মবিনুল হক, মহিউদ্দিন (২৪) ও হাবিবুর রহমান (২৩)। তাঁদের মধ্যে মবিনুল ও মহিউদ্দিনের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। হাবিবুরের বাড়ি ভোলায়।