আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। এ ছাড়া কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও অবনতি হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগসংক্রান্ত দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। অবশ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় আরও পরে।
প্রতিবেদনে নদ-নদীর পরিস্থিতি এবং পূর্বাভাসের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, সুরমা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ভারী, কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ৪৮ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মা, কুশিয়ারা, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার কাছাকাছি অথবা ওপরে অবস্থান করতে পারে।
আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত সুনামগঞ্জে পুরাতন সুরমা, কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, বগুড়া ও সিরাজগঞ্জে যমুনা, নেত্রকোনার সোমেশ্বরী ও কংস, সিলেটে সুরমা, কুশিয়ারা সারিগোয়াইন ও খোয়াই নদ–নদীর পানির বিপৎসীমার ওপর দিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবেদনে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন ও খোয়াই নদ–নদীর পানি সব কটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুরমা নদীর পানি কমতে শুরু হয়েছে। বহু মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সুনামগঞ্জে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। জেলার ধর্মপাশায় ৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
নেত্রকোনার ছয়টি উপজেলার (দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, বারহাট্টা, মদন, খালিয়াজুরি ও মোহনগঞ্জ) ৩৯টি ইউনিয়নের ৭ হাজার ২৩০টি পরিবারের ৩১ হাজার ৬৯০ জন মানুষ এবং সাড়ে ১২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এভাবে অন্যান্য এলাকার বন্যা পরিস্থিতি তথ্য তুলে ধরা হয়।