সিলেট ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে, এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে

মেহেদী আহমেদ আনসারী, অধ্যাপক পুরকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি। প্রথম আলো

ভূমিকম্পের জন্য বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল আগে থেকেই ঝুঁকিতে আছে। এই অঞ্চলে অতীতে তিনবার বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার ইতিহাস আছে। এর মধ্যে একটি হয়েছিল ১৮৬৯ সালে সিলেট অঞ্চলের কাছার এলাকায়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।

আরেকটি ১৯১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে। আরেকটি ১৯২৩ সালে দুর্গাপুরে। এগুলোও বড় ধরনের ভূমিকম্প ছিল। এর কারণে সেখানে বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়, যা এখনো রয়েছে। ফাটলগুলো সুপ্ত অবস্থায় আছে। ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ায় সেটি নাড়াচাড়া দিতে পারে। ছোট ছোট ভূমিকম্পের কারণে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। আজ সিলেটের জৈন্তাপুরে এবং জগন্নাথপুরে ছোট মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।

সাম্প্রতিক কালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়নি মানে এই নয় যে এখানে আর বড় ভূমিকম্প হবে না। তাই এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে। বর্তমানে সেখানে প্রস্তুতি খুবই কম।

ভবন যেভাবে হচ্ছে, সেখানে যদি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়, তাহলে প্রস্তুতির অভাবে ভবন ধসে অনেক মানুষ হতাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি মনে করি, স্থানীয় সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে সেখানকার বাসাবাড়িগুলো ভূমিকম্পসহনীয় কি না, সেটি দেখে সনদের ব্যবস্থা করা। সবাই নিজের বাসা যাচাই করে দেখে এটি করবেন। কোনো বাসা খারাপ থাকলে মজবুত করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, ভূমিকম্পে ৯০ শতাংশ মানুষ মারা যায় ভবন ধসে। এ জন্য সেখান ভবনগুলো শক্তিশালী করাই হবে প্রথম পদক্ষেপ।

লেখক: মেহেদী আহমেদ আনসারী
অধ্যাপক পুরকৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়